ইসলামাবাদে আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার পাকিস্তান তালেবানের

আত্মঘাতী হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া যানবাহন খতিয়ে দেখছেন পুলিশ সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার ইসলামাবাদেছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তান তালেবান (টিটিপি)। এই হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩৬ জন। যদিও হামলার পেছনে ভারতের হাত আছে বলে অভিযোগ পাকিস্তানের।

ইসলামাবাদে বিস্ফোরণটি হয় আজ মঙ্গলবার দুপুরে জি-১১ এলাকায় জেলা ও দায়রা আদালত ভবনের বাইরে। এ সময় রাজধানী শহরে আন্তপার্লামেন্টারি সম্মেলন ও ষষ্ঠ মারগাল্লা সংলাপসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আয়োজন চলছিল। আরেক শহর রাওয়ালপিন্ডিতে চলছিল পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ম্যাচ।

হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি বলেন, হামলাকারী প্রায় ১২ মিনিট ধরে আদালত ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। প্রথমে তিনি আদালতের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হলে পুলিশের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটান। এ ঘটনায় আহতদের খোঁজখবর নিতে হাসপাতালগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

পরে এক বিবৃতিতে পাকিস্তান তালেবান জানায়, ইসলামাবাদের বিচারিক কমিশনকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালিয়েছে তাদের যোদ্ধারা। পাকিস্তানের ‘অইসলামি আইনে’ যেসব বিচারক, আইনজীবী ও কর্মকর্তা রায় দেন, তাঁদের লক্ষ্য করা হয়েছে। দেশটিতে ‘শরিয়াহ আইন’ বাস্তবায়ন না করা হলে আরও হামলা চালানো হবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে আদালত ভবনের বাইরে একটি পোড়া গাড়িতে আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে থাকা আইনজীবী রুস্তম মালিক বলেন, ‘আমি গাড়ি রেখে আদালত প্রাঙ্গণে ঢোকার সময়ই ফটকের কাছে জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। ফটকের সামনে দুটি মৃতদেহ দেখেছি। কয়েকটি গাড়িতেও আগুন জ্বলছিল।’

হামলার ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাকভি। জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ এই হামলার পেছনে ভারতের হাত দেখছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি লিখেছেন, ইসলামাবাদে হামলা এই অঞ্চলে ‘ভারত পরিচালিত সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বাজে’ উদাহরণ।