পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার
পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির (বিএপি) সিনেটর আনোয়ারুল হক কাকার। আজ শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য জানায়।
আজ প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও জাতীয় পরিষদের বিদায়ী বিরোধী দলীয় নেতা রাজা রিয়াজ এক বৈঠক করেন। সেখানেই তাঁরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ এবং বিরোধী দলীয় নেতা রিয়াজ তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনোয়ারুলকে নিয়োগের বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক করার পর বাইরে বেরিয়ে রিয়াজ সাংবাদিকদের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনোয়ারুলের নাম জানিয়েছিলেন।
রিয়াজ বলেন, ‘আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে হবে একটি ছোট প্রদেশ থেকে। আনোয়ারুল হক কাকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন, এ বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি। আমি এই নামটি প্রস্তাব করেছি আর প্রধানমন্ত্রী এতে সম্মতি জানিয়েছেন। এরপর আমি এবং প্রধানমন্ত্রী সারসংক্ষেপে স্বাক্ষর করি। ’ তিনি আরও জানান, আনোয়ারুল আগামীকাল রোববার শপথ নিতে পারেন।
তবে আজকের বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মন্ত্রিসভা নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন রিয়াজ।
পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তিন দিন আগে ৯ আগস্ট রাতে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। পাকিস্তানের সংবিধানে বলা আছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যদি জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন করতে হবে। আর জাতীয় পরিষদ মেয়াদ পূর্ণ করলে ৬০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন হবে।
গতকাল শুক্রবার শাহবাজ শরিফ ও রাজা রিয়াজকে চিঠি দেন প্রেসিডেন্ট আলভি। সেখানে তাঁদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের নাম প্রস্তাব করতে বলেন। চিঠিতে আলভি মনে করিয়ে দেন, ৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শে তিনি জাতীয় পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন।
আলভি লিখেছেন, সংবিধানের ২২৪ অনুচ্ছেদ (১এ) অনুযায়ী, দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন প্রেসিডেন্ট।
প্রেসিডেন্ট আরও লিখেছেন, সংবিধানের ২২৪ অনুচ্ছেদের আওতায় জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের নাম প্রস্তাব করতে হয়।
১২ আগস্টের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করতে শাহবাজ ও রিয়াজকে নির্দেশ দেন আলভি।