পাকিস্তানে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় ধর্মঘট

জ্বালানি ও বিদ্যুতের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্মঘট পালন করেছেন পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা। করাচি শহরে বন্ধ রাখা হয় দোকানপাট
ছবি: রয়টার্স

জ্বালানি ও বিদ্যুতের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্মঘট পালন করেছেন পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা। আজ শনিবার লাহোর, করাচি, পেশোয়ারসহ দেশটির বড় শহরগুলোর বেশির ভাগ দোকানপাট ছিল বন্ধ। ‘বিদ্যুতের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি ও বাড়তি করারোপের’ প্রতিবাদ জানিয়ে বাজারগুলোর সামনে প্ল্যাকার্ড ঝোলানো হয়।

জাতীয় নির্বাচনের আগে বিদ্যুৎ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অসন্তোষের মধ্যে এ কর্মসূচি পালিত হলো। লাহোরের পৌর ব্যবসায়ী ইউনিয়নের সভাপতি আজমল হাশমি বলেন, সবাই এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। কারণ, পরিস্থিতি অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। তিনি বলেন, মানুষ যাতে খেতে পারে, (সরকারে) তেমন কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে।

তবে গতকাল শুক্রবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার বলেছেন, নাগরিকদের বিদ্যুতের বর্ধিত দামই দিতে হবে। কারণ, এর দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নেই।

কয়েক দশকের অব্যবস্থাপনার কারণে পাকিস্তানের অর্থনীতি এখন বিপর্যস্ত। চলতি সপ্তাহে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম বাড়িয়ে ৩০০ রুপি নির্ধারণ করেছে সরকার। দেশটির ৭৬ বছরের ইতিহাসে ডলারের বিপরীতে রুপির মানের সবচেয়ে অবনমন হয়েছে।

খেলাপি হওয়া এড়াতে চলতি গ্রীষ্মে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে চুক্তি করতে বাধ্য হয় দেশটি। বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটির শর্ত ছিল, জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে দেওয়া জনপ্রিয় ভর্তুকির লাগাম টানতে হবে। এর কারণে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম আকাশচুম্বী হয়ে যায়।

পাকিস্তানে ব্যবসায়ী সমাজের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে সরকার ব্যবসায়ীদের পক্ষে রাখবে, নাকি আইএমএফের দেওয়া সরকারি ব্যয় কমানোর শর্ত বাস্তবায়ন করবে এ নিয়ে দোটানায় পড়েছে।