কারাগারে স্ত্রী বুশরার জন্য কম্বল পাঠিয়েছিলেন ইমরান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে কারাগারে না রেখে বাড়িতে সাজাভোগের সুযোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে গুঞ্জন তুলেছেন, ক্ষমতাশালী পক্ষের সঙ্গে চুক্তি করে বুশরাকে বাড়িতে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে ইমরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, স্ত্রীকে যে বানিগালার বাড়িতে পাঠানো হয়েছে, তা তিনি জানতেনই না। বুশরার জন্য কারাগারে কম্বল পাঠানোর পরই তিনি বিষয়টি জানতে পারেন।
গত বুধবার তোশাখানা দুর্নীতির এক মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। ওই দিনই পাকিস্তান সরকার বলেছে, বুশরা বিবিকে বানিগালার বাড়িতে স্থানান্তর করা হয়েছে। ইমরান ও বুশরার বাড়িটিকে সাব জেল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এর মধ্যে ইসলামি শরিয়াহ আইন লঙ্ঘন করে বিয়ে করার অভিযোগে হওয়া এক মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়েছেন ইমরান ও বুশরা। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে হাজির হন তাঁরা। তখন উপস্থিত সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে ইমরান বলেন, কোনো চুক্তির কারণে বানিগালার বাসভবনকে ‘সাব জেল’ ঘোষণা করা হয়নি।
ইমরান খান বলেন, ‘আমরা কোনো চুক্তি চাই না। বুশরা বিবিকে আদিয়ালা কারাগারে আটক রাখা যেত।’ ইমরান খান আরও বলেন, কয়েক মাস ধরে কারাবন্দী পিটিআই নেত্রী ইয়াসমিন রশিদ, আলিয়া হামজা ও সনম জাভেদের জন্যও তিনি এমন কোনো অনুরোধ করেননি।
ইমরানের দাবি, তিনি রাতে বুশরা বিবির জন্য একটি কম্বল পাঠিয়েছিলেন। পরে তাঁকে জানানো হয়, বুশরাকে বানিগালার বাড়িতে স্থানান্তর করা হয়েছে। ইমরানের অভিযোগ, সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বানিগালার বাড়িকে সাব জেল ঘোষণা করেছে।
বুশরা বিবি বলেছেন, সামরিক কর্তৃপক্ষ পরোক্ষভাবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, তবে প্রাথমিক পর্যায়ের সংলাপ ব্যর্থ হয়েছে। পরে তাদের সঙ্গে আর কোনো আলোচনা এগোয়নি বলে দাবি করেন ইমরানের স্ত্রী।
বুশরা বিবি আরও বলেন, জেলের উপ তত্ত্বাবধায়ক বলেছিলেন, তাঁকে সিমলি দাম রেস্ট হাউসে নেওয়া হচ্ছে। পরে বানিগালার বাড়িতে নেওয়ার পর তিনি চমকে যান।