সরকারের কাছে লিখিত দাবিদাওয়া জানাল পিটিআই

ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পিটিআই নেতাকর্মীদের বিক্ষোভফাইল ছবি রয়টার্স

রাজনৈতিক সমঝোতার লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে তৃতীয় দফায় আলোচনা শুরু করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতারা। আজ বৃহস্পতিবার সরকার গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটির কাছে পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে লিখিত দাবিদাওয়া তুলে ধরা হয়েছে।

পাকিস্তানে রাজনৈতিক উত্তাপ কমাতে গত ডিসেম্বর মাসে পিটিআই ও সরকারের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। তবে এর আগে দুই দফা আলোচনার পরও রাজনৈতিক সমঝোতার লক্ষ্য অর্জনে অগ্রগতি হয়নি। পিটিআইয়ের বিক্ষোভ ঘিরে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন ও পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীদের মুক্তির বিষয়টি ঝুলে রয়েছে।

এর মধ্যে আজ জাতীয় পরিষদের স্পিকারের তত্ত্বাবধানে আলোচনা শুরু হয়। এতে পিটিআই ও অন্য বিরোধী দলগুলো থেকে মোট সাতজন ও সরকারপক্ষের আটজন প্রতিনিধি অংশ নেন।

আলোচনায় বিরোধী পক্ষ থেকে জাতীয় পরিষদে বিরোধীদলীয় নেতা ওমর আইউব, খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুর, পিটিআই নেতা আসাদ কায়সার, সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল প্রধান হামিদ রাজা, মজলিস ওয়াদাত-ই-মুসলিমিন নেতা রাজা নাসির আব্বাস জাফরি ও পিটিআই মহাসচিব সালমান আকরাম রাজা উপস্থিত হন। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, পিএমএল-এন সিনেটর ইরফান সিদ্দিকি, পিপিপি আইনপ্রণেতা রাজা পারভেচ আশরাফ, নাভিদ কামার, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ ও এমকিউএম আইনপ্রণেতা ফারুক সাত্তার উপস্থিত হন।

বৈঠকে পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে তাদের দাবিদাওয়া লিখিত আকারে দেওয়া হয়। তিন পাতার ওই নথিতে বিরোধীপক্ষের ছয়জনের স্বাক্ষর রয়েছে। নথিতে মূলত দুটি দাবি তুলে ধরা হয়েছে। এর একটি হচ্ছে বিচার বিভাগীয় দুটি কমিশন গঠন ও আরেকটি হচ্ছে পিটিআই কর্তৃক চিহ্নিত রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি, সাজা মওকুফ ও জামিনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের সহযোগিতা।

চিঠিতে বলা হয়, দাবিগুলো সংবিধান পুনরুদ্ধার, আইনের শাসন এবং জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে বৃহত্তর আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে পিএমএল-এন-এর নেতৃত্বাধীন জোট এবং পিটিআই পরস্পরের বিরুদ্ধে আলোচনাকে গুরুত্ব না দেওয়ার ও শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ করে আসছে। এর আগে ১২ জানুয়ারি আদিয়ালা কারাগারে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সঙ্গে দলের নেতাদের বৈঠক তৃতীয় দফা আলোচনার পথ প্রশস্ত করে। পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল, ইমরান খানের সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হচ্ছে না।