শিক্ষা সমাপনীতে নকল বিয়ে

প্রতীকী ছবি। এএফপি

বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁরা পড়েছেন, তাঁদের কাছে জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়ের কথা জানতে চাইলে অনেকে একবাক্যে তাঁর ‘ক্যাম্পাসজীবনের’ কথাই বলবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় একজন শিক্ষার্থীর বাকি জীবনের ভিত্তি তৈরি করে দেয়। একই সঙ্গে উপহার দেয় সবচেয়ে সুন্দর কিছু মুহূর্ত। তারুণ্যে ভরপুর সেই জীবন স্মরণীয় ও উপভোগ্য করার নানা আয়োজন থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে পাকিস্তানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর ব্যতিক্রমী আয়োজন চমকে দিয়েছে সবাইকে। খবর এনডিটিভির।

এতে তিন দিনব্যাপী বিয়ের আয়োজন করা হয়। প্রথম দিন বর-কনে ঠিক করা। এদিনের অনুষ্ঠানমালার নাম ‘বাত পাক্কি’ বা কথা পাকাপাকি করা। দ্বিতীয় দিনে ‘মেহেন্দি’ বা হলুদসন্ধ্যা। আর তৃতীয় দিনে ‘বারাত’ বা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। বিয়ের কেনাকাটা থেকে শুরু করে বরযাত্রী আসা পর্যন্ত সবই হয়েছে ধুমধাম করে। বিয়েতে হাজির ‘অতিথিরা’ নেচে-গেয়ে তিন দিন আনন্দ উদ্‌যাপন করেছেন। তবে এসব দেখে সত্যিকারের বিয়ে মনে করলে ভুল করবেন। কারণ, সবই ছিল সাজানো আয়োজন।

বিয়ের অনুকরণ করে নকল বিয়ের এমন আয়োজন হয় পাকিস্তানের লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেসে। পড়াশোনা শেষে শিক্ষা সমাপন উদ্‌যাপনে এমন আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়জীবন স্মরণীয় করে রাখতেই এ আয়োজন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এতে টানা তিন দিন ক্যাম্পাস হয়ে ওঠে ‘বিয়েবাড়ি।’ আসল বিয়ের মতোই নকল এ বিয়ের সব মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করা হয়। এরপর সেই ভিডিও পোস্ট করা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেই ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে।

নকল বিয়েতে বর ও কনেও সাজানো হয়েছিল। বিয়ের বর-কনে বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। শিক্ষার্থীরা মিলে তাঁদের ‘সিনিয়র’ এই দুই ভাই ও আপুকে বর-কনে নির্বাচন করেন।

তবে বিয়ের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর হাজার হাজার মানুষ তাতে প্রতিক্রিয়া জানান। অনেকে এমন আয়োজনের প্রশংসা করে মন্তব্য করেছেন। তবে কেউ কেউ বলছেন, মিথ্যা বিয়ের আয়োজন করে বিয়েকেই ছোট করা হয়েছে।