পাকিস্তানে গির্জায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর দুজন ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার
পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় ফয়সালাবাদ শহরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গির্জায় হামলা চালানোর পর আক্রান্ত জনগোষ্ঠীরই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে।
পাকিস্তানের পুলিশ বলেছে, পবিত্র কোরআনের কিছু পৃষ্ঠায় লাল কালিতে অবমাননাকর বক্তব্য লেখা হয়েছে। ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের এই দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত বুধবার ফয়সালাবাদে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর অভিযোগ তুলে পাঁচটি গির্জায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে লুটপাট চালায় ধর্মীয় উগ্রপন্থীরা। স্থানীয় প্রভাবশালী মুসলমানদের নেতৃত্বে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে এ তাণ্ডব চলে। এতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন।
এ ঘটনার পর থেকে ফয়সালাবাদে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গতকালও সেখানে আধা সামরিক বাহিনী ও পুলিশের সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ১২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী ধর্ম অবমাননার দায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত দেশটিতে কাউকে এ শাস্তি দেওয়া হয়নি। তবে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠার পর বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। এমনকি ধর্ম অবমাননাসংক্রান্ত আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ায় এক প্রাদেশিক গভর্নর ও এক মন্ত্রীকে গুলি করে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে আজ মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান আনোয়ারুল হক কাকার বলেছেন, বুধবারের ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে যেকোনো মূল্যে সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা হবে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে গির্জায় হামলা: বাড়িছাড়া শত শত খ্রিষ্টান