ইমরান খান বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে তিনি কোনো চুক্তি করতে চান না। গতকাল শনিবার আদিয়ালা কারাগারে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ইমরান বলেন, ‘দেড় বছর ধরে আমি আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকার কথা বলে আসছি। তবে কোনো চুক্তি করব না।’
পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আলোচনা সব সময় রাজনীতির একটি অংশ ছিল। কিন্তু তা সব সময় বিরোধীদের সঙ্গে হয়ে এসেছে। তিনি আবারও বলেন, তাঁর দল পিটিআই তিনটি দল বাদে সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। ওই তিনটি দল হচ্ছে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি)।
ইমরান খান বলেন, যিনি দেশ ছেড়ে পালাতে চান বা কারাদণ্ড এড়াতে চান, তিনিই মূলত চুক্তি করেন। ডন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চুরি করা জনরায় ফেরত দেওয়া ও বন্দী পিটিআই কর্মীদের মুক্তি দেওয়া হলে তারপরই কেবল আলোচনা হতে পারে।
পিটিআই নেতা দেশের প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করতে তিনজনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। গত সপ্তাহ থেকেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরানের দলের সম্ভাব্য সংলাপ নিয়ে আলোচনার গুঞ্জন চলছিল। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ‘এস্টাবলিশমেন্ট’ তথা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করতে খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দাপুর, জাতীয় পরিষদের বিরোধী নেতা ওমর আইউব খান এবং সিনেটের বিরোধী দলের নেতা শিবলি ফারাজকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে ইমরানের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর বিরোধ মেটার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
কারাবন্দী নেতা ইমরান খান বলেন, ‘আমি তিনজনকে আলোচনার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি, কোনো চুক্তির জন্য নয়।’ ইমরান অভিযোগ করে বলেন, তোশাখানা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে চতুর্থ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। তাদের উচিত সব মামলা একসঙ্গে করা।
এর আগে পিটিআই চেয়ারম্যান গওহর আলী খান অবশ্য বলেছিলেন, তাঁর দল কারও সঙ্গে আলোচনা করবে না। এ নিয়ে কাউকে কোনো বার্তাও দেওয়া হয়নি। গতকাল রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারের বাইরে গওহর বলেন, ইমরান খানের বিরুদ্ধে যেসব মামলা করা হয়েছে, সেগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইমরান খান বিচার বিভাগকে দ্রুত তাঁর মামলাগুলোর রায় দিতে অনুরোধ করেছেন। ইমরানের কথায় সুর মিলিয়ে গওহর আলীও বলেন, তিন নেতাকে আলোচনার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কোনো চুক্তি করবেন না।