দুবাইয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জারদারি ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের বিপুল সম্পদ

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারিফাইল ছবি: এএফপি

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারিসহ কয়েকজন রাজনীতিবিদ ও সাবেক সেনা কর্মকর্তার বিপুল পরিমাণ গোপন সম্পদ থাকার তথ্য ফাঁস হয়েছে।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক দ্য অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের (ওসিসিআরপি) ‘দুবাই আনলকড’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অঘোষিত উপায়ে, তথা গোপনে বিপুল সম্পদের মালিকানা অর্জনের একটি আকর্ষণীয় জায়গা হয়ে উঠেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনকুবেররা দুবাইয়ের আবাসন খাতের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। সব সময় স্বচ্ছ বা বৈধ উপায়ে অর্জিত নয়—এমন তহবিল ব্যবহার করে তাঁদের অনেকেই সেখানে সম্পদ গড়ছেন বা বিনিয়োগ করছেন। এতে অর্থ পাচার হওয়ার ব্যাপারে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা ছাড়াও শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ, ব্যাংকার ও আমলারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের অভিজাত এলাকাগুলোয় সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। যেমন দুবাইয়ে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির আছে দুটি সম্পদ। সাবেক সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফের আছে একটি।

এ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভির স্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছেলে হুসেন নওয়াজ শরিফ, রাজনীতিবিদ শারজিল মেমন, সিনেটর ফয়সাল ভাউদা, জাতীয় পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং সিন্ধু ও বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের কয়েকজন সদস্যের নাম আছে। রোশান হুসেন ও হুসেন জাহুর নামের দুই পাকিস্তানি ধনকুবের নামও আছে এ তালিকায়।

তালিকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজ, কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল, একজন পুলিশপ্রধান, একজন দূত ও একজন বিজ্ঞানীর নামও আছে। তাঁরা কেউ সরাসরি সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন, কেউ স্বামী-স্ত্রী বা সন্তানের নামে সম্পদ কিনেছেন।

ওমনি গ্রুপের আসলাম মাসুদ, সোহরাব দিনশাউ, হামিদ মুখতার শাহও দুবাইয়ে বিলাসবহুল আবাসনের মালিক।

ফাঁস হওয়া তথ্য অনুসারে, দুবাইয়ে বিদেশিদের মালিকানায় থাকা সম্পদের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ভারত। এরপরই পাকিস্তানের অবস্থান।

দুবাইয়ে পাকিস্তানিরা সব মিলে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক।
পাকিস্তানের ইংরেজি ভাষার পত্রিকা ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেদন অনুযায়ী দুবাইয়ে ১৭ হাজার পাকিস্তানি সম্পদের মালিক। তবে তথ্য-উপাত্ত ও অতিরিক্ত সূত্র ব্যবহার করে এ সংখ্যা ২২ হাজারের মতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন