সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফকে (পিটিআই) নৈরাজ্যবাদী ও নাশকতাকারীদের দল হিসেবে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। একই সঙ্গে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় বিরোধী দলের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে রাষ্ট্রবিরোধী বিক্ষোভ ঠেকাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী অবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শাহবাজ।
গত রোববার রাজধানী ইসলামাবাদসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে কারাবন্দী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বড় ধরনের বিক্ষোভ করেছেন পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীরা। এতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সংঘাত হয়। এ বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি ও খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দারপুর। তাঁরা পেশোয়ার থেকে বিক্ষোভ শুরু করে ইসলামাবাদের ডি চকে জড়ো হন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ কয়েকজন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য বুশরা ও গান্দারপুরকে দায়ী করে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে গত শুক্রবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ, সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সাঈদ আসিম মুনির। এ ছাড়া নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও এতে যোগ দেন।
ইসলামাবাদে পিটিআইয়ে বিক্ষোভের পর ইমরান খানের মুক্তির জন্য চাপে রয়েছে পাকিস্তান। এ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা বৈঠক ডেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। এর মধ্যে বিক্ষোভে যুক্ত থাকা পিটিআইয়ের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার মতো বিষয় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভির নেতৃত্বে বিশৃঙ্খলাকারীদের শনাক্তে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছেন। ভবিষ্যৎ সহিংসতা ঠেকাতে শাহবাজ শরিফে দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ছাড়া প্রমাণ বিশ্লেষণে ফরেনসিক ল্যাব গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ ছাড়া সরকারি এক সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে গভর্নরের শাসন চালু করার কথা বিবেচনা করছে।