নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সামরিক মহড়া পাকিস্তানের
পাকিস্তান সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) কাছাকাছি এলাকায় পূর্ণমাত্রায় সামরিক মহড়া চালিয়েছে। এতে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দেশটির বিভিন্ন ইউনিটে সেনা ও কর্মকর্তারা অংশ নেন। ইসলামাবাদ-নয়াদিল্লির মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এই মহড়া চালাল পাকিস্তান।
নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে, মহড়ায় লাইভ ফায়ার বা সরাসরি গুলি চালানোর বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। শত্রুপক্ষের যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দৃঢ় জবাব দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই মহড়া চালানো হয়।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ঝিলামে অবস্থিত টিলা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে (টিএফএফআর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মাঙ্গলা স্ট্রাইক কোর মহড়াটির আয়োজন করে।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, মহড়ার আগের দিন বুধবার কিয়ানি ও মান্ডাল সেক্টরে বিনা উসকানিতে ভারতের পক্ষ থেকে ছোট অস্ত্রের গুলি চালানো হয়। এর জবাবে তাঁরা ভারতের একটি তল্লাশিচৌকি ধ্বংস করে দিয়েছেন।
ভারতের কর্মকর্তাদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স আজ জানিয়েছে, গতকাল বুধবার রাতেও এলওসিতে পাকিস্তানের নিরাপত্তার বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালিয়েছেন। তাঁরা এর জবাব দিয়েছেন। এ নিয়ে এলওসিতে সাত দিন গোলাগুলি হলো।
২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনার পেছনে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ নয়াদিল্লির। সন্দেহভাজন হামলাকারীদের মধ্যে দুজন পাকিস্তানি বলেও দাবি করেছে তারা। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এর পর থেকে উভয় দেশ পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নিয়েছে।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। গতকাল দুজনকে ফোন করেন তিনি। এ সময় হামলার ঘটনা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন রুবিও।