চিড়িয়াখানার খাবারের ব্যয় কমাতে সিংহ নিলাম করছে পাকিস্তান

চিড়িয়াখানার ১২টি সিংহ নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের লাহোর সাফারি জু। ছবিটি ওই চিড়িয়াখানায় ৫ আগস্ট তোলা
ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের লাহোরের একটি চিড়িয়াখানা ১১ আগস্ট ব্যক্তিগত সংগ্রাহকদের কাছে প্রায় এক ডজন সিংহ নিলামে বিক্রির কথা জানিয়েছে। পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল ও অগ্রসর প্রদেশ হিসেবে পরিচিত পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরের চিড়িয়াখানা ‘লাহোর সাফারি জু’ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, খাওয়ানোর ব্যয় কমাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর এএফপির

চিড়িয়াখানার উপপরিচালক তানভীর আহমেদ জানজুয়া বলেন, চিড়িয়াখানায় এসব প্রাণীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। যার কারণে সিংহ ও বাঘকে পালাক্রমে বিচরণক্ষেত্রে ছাড়তে হয়। তিনি আরও বলেন, ‘শুধু জায়গা খালি করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এতে সিংহদের খাওয়াতে মাংস কেনার ক্ষেত্রেও ব্যয় সংকোচন হবে।’

ওই চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ২৯টি সিংহ রয়েছে। তাদের মধ্যে দুই থেকে ৫ বছর বয়সী ১২টি সিংহকে নিলামে বিক্রি করা হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার চিড়িয়াখানা চত্বরে এই নিলামের আয়োজন করা হবে।

তবে এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন বন্য প্রাণী সংরক্ষণবাদীরা। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড (ডব্লিউডব্লিউএফ) বলছে, প্রাণীগুলোকে অন্য প্রতিষ্ঠিত কোনো চিড়িয়াখানায় স্থানান্তরিত করা উচিত। তা না হলে প্রজনন করা প্রাণীগুলোকে গর্ভনিরোধক দেওয়া উচিত।

সংগঠনটির সদস্য উজমা খান বলেন, ‘চিড়িয়াখানার মধ্যে পশু বিনিময় এবং দান, সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। উজমা খান আরও বলেন, যদি চিড়িয়াখানার মতো একটি প্রতিষ্ঠান একটি বন্য প্রাণী প্রজাতির ওপর মূল্য নির্ধারণ করে তা বাণিজ্যের জন্য প্রচার করে, তা প্রাণী সংরক্ষণ নীতির বিপরীত।

পাকিস্তানে অবশ্য বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ কেনার ঘটনা নতুন কিছু নয়। দেশটির ধনী লোকজনদের অনেকেই নিজেদের বাড়িতে এসব প্রাণী রাখেন। এ ব্যাপারটিকে পাকিস্তানে আভিজাত্যের স্মারক হিসেবে দেখা হয়।

তবে যে কেউ নিলামে অংশ নিতে পারবেন না। তানভীর আহমেদ বলেন, যাঁরা এ নিলামে অংশ নিতে ইচ্ছুক, তাঁদের অবশ্যই প্রাদেশিক সরকারের কাছে নিবন্ধন করতে হবে এবং সিংহ কেনার পর তার দেখভাল করা ও যত্ন নেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে—এর প্রমাণ ও নথি দেখাতে হবে।