গ্রেপ্তারের পরদিন পিটিআইয়ের প্রেসিডেন্ট বললেন, ‘আমি সেনাবাহিনীর সমর্থক’

আদালতে হাজির করার সময় পিটিআই প্রেসিডেন্ট পারভেজ এলাহি দলের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন
ছবি: জিওটিভির ভিডিও থেকে

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রেসিডেন্ট পারভেজ এলাহি গ্রেপ্তার হওয়ার পরদিনই নিজেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ‘সমর্থক’ বলে দাবি করেছেন। একই সঙ্গে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে দলের নেতা-কর্মীদের মনোবল শক্ত রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে হাজির করার সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন। গতকাল লাহোরে নিজ বাড়ির বাইরে থেকে গ্রেপ্তার হন এলাহি।

গুজরাট জেলার জন্য বরাদ্দকৃত একটি উন্নয়ন তহবিলের সাত কোটি রুপি দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছিলেন আদালত। এরপরই তাঁকে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা গ্রেপ্তার করে।

আদালতে উপস্থাপন করার আগে এলাহি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি নির্দোষ এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন সমর্থক।’

পাঞ্জাবের এই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জিও নিউজের সঙ্গে কথা বলার সময় দল ছেড়ে যাওয়া নেতাদের তিরস্কার করেন। বলেন, তিনি কোনো সংবাদ সম্মেলন করবেন না।

এলাহি বলেন, তিনি কারও বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা করেছেন বলে মনে পড়ে না। তিনি তাঁর বর্তমান দুর্দশার জন্য পাঞ্জাবের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকভীকে দোষারোপ করেছেন। তিনি বলেন, ‘নাকভী আমার সঙ্গে অবিচার করেছে।’

আজ দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা এলাহির ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুনানি শেষে বিষয়টি আদেশের জন্য রেখেছেন।

শুনানির সময় এলাহির আইনজীবী রানা ইন্তিজার আদালতকে বলেন, এ মামলার সংশ্লিষ্ট সব নথি আছে। ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি যখন ৩৬ কোটি রুপির বিল পরিশোধ হয়, তখন নাকভি মুখ্যমন্ত্রী।

দুটি মামলা

এদিকে গুজরানওয়ালা শহরেও পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গত এপ্রিলে একটি মামলা হয়েছে। সেখানে উন্নয়ন প্রকল্পের চুক্তির জন্য তিনি ২০০ কোটি রুপি ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। আর অন্য মামলাটি হয়েছে লাহোরে। সেখানে বলা হয়, তুরস্কের একটি কোম্পানির কাছ থেকে ১২ কোটি রুপি ঘুষ নিয়েছেন তিনি।

এর আগে লাহোরে দুর্নীতিবিরোধী আদালতের বিশেষ জাজ এলাহির বিরুদ্ধে অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। একই সঙ্গে তাঁকে ২ জুন আদালতে হাজির করারও নির্দেশ দিয়েছিলেন। বলা হয়, আদালতে তাঁর বুকে ব্যাথা উল্লেখ করে যে চিকিৎসা সনদ উপস্থাপন করা হয়, সেটিও ভুয়া। গত ২৫ মে তাঁর জামিন আবেদন খারিজ হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। আর দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয় ২৬ মে।