পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলার জেরে বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ৬০
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে একটি বিক্ষোভ থেকে অন্তত ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। আজ সোমবার পাকিস্তানের সবচেয়ে দরিদ্র এই প্রদেশের রাজধানী কোয়েটা থেকে এই ধরপাকড় করা হয়। সম্প্রতি এক আত্মঘাতী হামলার জবাবদিহির দাবিতে এ বিক্ষোভ হয়েছে।
কোয়েটা ছাড়াও আজ বেলুচিস্তানের এক ডজনের বেশি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে বিক্ষোভকারীরা সড়কে অবস্থান নেন। বন্ধ ছিল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো। রাজধানী কোয়েটায় সড়ক অবরোধের ফলে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। এ সময় সেখানে বিক্ষোভ দমনে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়েন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
স্থানীয় পুলিশের জ্যেষ্ঠ সুপারিনটেনডেন্ট মুহাম্মদ বালুচ এএফপিকে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে যে তাঁদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকার থাকলেও, মানুষকে রাস্তা থেকে সরে যেতে বাধ্য করা বা যানবাহন চলাচলে বাধা দেওয়ার অধিকার নেই। মানুষকে তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য করার অধিকারও কারও নেই।
এই বিক্ষোভ মূলত ২ সেপ্টেম্বর বেলুচিস্তানে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে আত্মঘাতী হামলার জেরে। ওই হামলায় ১৫ জন নিহত হন। তখন হামলার দায় স্বীকার করেছিল ইসলামিক স্টেট। গতকাল বিক্ষোভের আগে রাজনৈতিক দল বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি) সবাইকে এক জোট হয়ে ওই হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশের দাবি জানানোর আহ্বান করেছিল।
রক্তক্ষয়ী ওই হামলার ঘটনা ঘটেছিল কোয়েটার একটি স্টেডিয়ামের গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানে। সেখানে একটি সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন বিএনপির কর্মী–সমর্থকেরা। বেলুচিস্তানের সব রাজনৈতিক দল এবং উপজাতিদের প্রতি বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির প্রধান আখতার মেঙ্গাল বলেন, ‘রাষ্ট্র কি এর জন্য দায়ী নয়? নিরপরাধ মানুষের সুরক্ষা দেওয়া কি রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয়?’
ইরান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে বেলুচিস্তানের সীমানা রয়েছে। প্রদেশটিতে মাঝেমধ্যেই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসব সহিংসতার জন্য প্রায়ই দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেটের আঞ্চলিক শাখা আইএস–খোরাসান। কিছু হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস–পাকিস্তান ও বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও।