পাকিস্তানের বিচারপতিদের পাঠানো চিঠিতে থাকা পাউডার কী ছিল

সুপ্রিম কোর্ট ভবন, ইসলামাবাদ, পাকিস্তানছবি: ওয়েবসাইট থেকে

পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের কয়েকজন বিচারপতিকে পাঠানো চিঠিতে থাকা রহস্যজনক পাউডারের ফরেনসিক প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে দ্য কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি)। বেশ কয়েটি সূত্র জিও নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের অন্তত চারজন, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের আটজন ও লাহোর হাইকোর্টের ছয়জনকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এতে বিচার বিভাগে একধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল।

সর্বশেষ যেই বিচারপতি এই হুমকির চিঠি পেয়েছেন, তিনি হলেন লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি আলী বকর নাজাফি। এসব ঘটনায় সিটিডি অজ্ঞাতনামা লোকজনের বিরুদ্ধে দুই এফআইআর করে। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।

সূত্র জানিয়েছে, চিঠিগুলোয় থাকা সাদা রঙের পাউডারে আর্সেনিক পাওয়া গেছে। আর্সেনিকের হার ছিল ১০ শতাংশ। এর মাত্রা অনেক বেশি হলে তা ‘বেশ বিষাক্ত’ ও মানবশরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। এমনকি শ্বাস নেওয়ার সময় স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে।

তদন্তকারীরা রাওয়ালপিন্ডির স্যাটেলাইট টাউনের উপবিভাগীয় পোস্ট অফিস থাকা লেটার বক্সগুলোর কাছে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন।
সূত্রগুলো জানায়, ভিডিওতে থাকা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জাতীয় ডেটাবেজ অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষের সহায়তায় শনাক্ত করা হবে।

এর আগে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিসহ বেশ কয়েকজন বিচারপতি সাদা পাউডারসংবলিত চিঠি পেয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেগুলোয় অ্যানথ্রাক্স ছিল।

পরে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফায়েজ ইসা ও সুপ্রিম কোর্টের আরও তিনজন বিচারপতি একই ধরনের চিঠি পান। এরপর লাহোর হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতিকে এ ধরনের চিঠি পাঠানো হয়। আজ সর্বশেষ এমন চিঠি পান বিচারপতি বকর নাজভি।

সন্দেহভাজন পাউডার দিয়ে বিচারকদের প্রচ্ছন্ন হুমকি দেওয়ার বিষয়টিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি ওঠার পর প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বিষয়টি তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, স্পর্শকাতর এ বিষয়কে রাজনৈতিক রং দেওয়া উচিত নয়।