ইমরান খানের বাসভবনে পুলিশের অভিযান

লাহোরে বাড়ি থেকে ইসলামাবাদে যাওয়ার পথে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গাড়িবহর। তোশাখানা মামলায় আজ শনিবার ইমরানের ইসলামাবাদে আদালতে হাজির হওয়ার কথাছবি: এএফপি

ইসলামাবাদে আদালতে হাজির হতে রওনা দিতেই পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।  লাহোরে তাঁর বাসভবন জামান পার্কে এ অভিযানের নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। ইমরান টুইট করে জানিয়েছেন, বাড়িতে তাঁর স্ত্রী বুশরা বেগম একা আছেন।

তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় আজ শনিবার ইমরান খানের অতিরিক্ত জেলা ও সেশন জাজ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ রয়েছে।

ইমরান খান টুইট করে লিখেছেন, ‘পাঞ্জাব পুলিশ আমার বাড়ি জামান পার্কে হামলা চালিয়েছে, সেখানে আমার স্ত্রী বুশরা বেগম একা। কোন আইনে তারা এমনটা করছে? এটি লন্ডন পরিকল্পনার অংশ। যেখানে একজনকে নিয়োগে সম্মত হতে পলাতক নওয়াজ শরিফকে ক্ষমতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।’

ইমরানের দল পিটিআইয়ের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা দেখা গেছে, ভেতরে পুলিশ দলের কর্মীদের পেটাচ্ছে। দলটি বলছে ঘটনাটি ইমরানের বাসভবনের ভেতরে। তবে ডনডটকম এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

আরও পড়ুন

আরেক কর্মীর পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, জামান পার্কের বাড়ির সামনের ফটকের পাশের দেয়াল এক্সকাভেটর দিয়ে ভাঙা হচ্ছে। এরপর ফটক দিয়ে পুলিশ সদস্যরা ভেতরে প্রবেশ করেন। ডননিউজটিভির সাংবাদিক ঘটনাস্থল থেকে নিশ্চিত করেছেন, এক্সকাভেটর দিয়ে ফটক ভাঙা হয়েছে।

ডননিউজটিভির সাংবাদিক বলেন, পাঞ্জাব পুলিশের সদস্যরা ইমরান খানের বাড়ির প্রবেশ ফটকের সামনে থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। পুলিশ ভেতরে থেকে পিটিআই কর্মীদের প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছিল বলে জানা গেছে, যার ফলস্বরূপ লাঠিচার্জ করেছে।

কয়েকজন কর্মীকে ইতিমধ্যে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এমনকি বাড়ির প্রাঙ্গণে থাকা শিবিরগুলো উপড়ে ফেলেছে।

উল্লেখ্য যে পুলিশের ওপর হামলার তদন্তের অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার লাহোর হাইকোর্ট ইমরানের জামান পার্কের বাসভবনে তল্লাশি করার অনুরোধ মঞ্জুর করে।  পাঞ্জাবের আইজিপি উসমান আনোয়ার এ অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

গত বুধবার ইমরানকে গ্রেপ্তারের জন্য লাহোরের জামান পার্কে তাঁর বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিল পুলিশ। পরে ইমরান খানের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ সমর্থকদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। সমর্থকেরাও ইটপাটকেল ছোড়েন। ইমরানকে গ্রেপ্তার করার কোনো সুযোগ পুলিশকে দেননি সমর্থকেরা।