পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান পদে ইমরানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা না-করা নিয়ে বিভ্রান্তি
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শের আফজাল খান মারওয়াত গতকাল মঙ্গলবার বলেন, দলের চেয়ারম্যান পদের জন্য আসন্ন দলীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না ইমরান খান। তবে পরে আফজালের এই দাবি অস্বীকার করে পিটিআই।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে আছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান পদে আছেন।
আফজালের দাবি অস্বীকার করে দেওয়া বিবৃতিতে সরাসরি তাঁর নাম নেয়নি পিটিআই। তবে বিষয়টি স্পষ্ট যে পিটিআইয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিবৃতিটি আফজালের দাবিকে কেন্দ্র করেই দেওয়া হয়েছে।
গতকাল আদিয়ালা কারাগারের বাইরে পিটিআইয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপকালে আফজাল বলেছিলেন, আইনি নিষেধাজ্ঞাসহ অন্যান্য কারণে ইমরান দলের চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আফজাল আরও বলেন, ইমরান নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তিনি পিটিআই চেয়ারম্যান পদের জন্য দলীয় নির্বাচনে লড়বেন না। সিদ্ধান্তটি সর্বসম্মতিক্রমে নেওয়া হয়েছে।
আফজালের এমন বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি বিবৃতি দেয় পিটিআই। বিবৃতিতে বলা হয়, এ বিষয়ে গণমাধ্যমের জল্পনাকল্পনাকে পিটিআই দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে।
পিটিআইয়ের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার বিষয়ে একজন জ্যেষ্ঠ নেতার দাবিও অস্বীকার করে দলটি।
বিবৃতিতে পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। দলের চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন থেকে ইমরানকে প্রত্যাহার বা তাঁর জায়গায় অন্য কোনো নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
পিটিআই বলেছে, দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন, নির্বাচনের তারিখ ও প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে তা সঙ্গে সঙ্গে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
এদিকে, আফজাল তাঁর বক্তব্যে অটল আছেন। পিটিআইয়ের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় আফজাল বলেছেন, তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
আফজাল আরও বলেন, দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন নিয়ে তিনি ইতিমধ্যে যা বলেছেন, তা সঠিক। পিটিআইয়ের বিবৃতিতে দেওয়া বিরোধপূর্ণ বক্তব্যের পেছনে কে আছেন, কেন এমন বিভ্রান্তিকর বিবৃতি জারি করা হলো, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি গণমাধ্যমকে তাঁর দেওয়া বক্তব্য যাচাই করার পরামর্শ দেন।
গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান (৭১)। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়। ইমরানের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব মামলা হয়েছে, যাতে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে না পারেন।