আসামি ধরতে রোলার স্কেট ইউনিট

পাকিস্তানের করাচিতে রাস্তাঘাটে চুরি বা হয়রানির মতো অপরাধ ঠেকাতে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে অভিনব এক দল তৈরি করা হয়েছে। এ দলের সদস্যরা রোলার স্কেট (চাকা লাগানো বিশেষ জুতা) ব্যবহার করে অপরাধী আটক করার কাজ করবেন
ছবি: রয়টার্স

প্রায় সব দেশেই রাস্তাঘাটে চুরি বা হয়রানির মতো অপরাধ হয়ে থাকে। কোথাও কম, কোথাও বেশি। তবে পাকিস্তানে এসব অপরাধ ঠেকাতে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে অভিনব এক দল তৈরি করা হয়েছে। এ দলের সদস্যরা রোলার স্কেট (চাকা লাগানো বিশেষ জুতা) ব্যবহার করে অপরাধী আটক করার কাজ করবেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় শহর করাচিতে পুলিশের এই বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। এ দলে মোট ২০ জন সদস্য আছেন। তাঁদের পোশাক পুরো কালো রঙের। রোলার স্কেট ব্যবহার করে অপরাধী আটক করার জন্য আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত এই দলের সদস্যদের কঠোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আশা, এ দলের মাধ্যমে করাচির রাস্তায় অপরাধের পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

এই বিশেষ দলের প্রধান ফররুখ আলি বলেছেন, রাস্তাঘাটে সংঘটিত অপরাধ কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করার প্রয়োজন ছিল। মোটরসাইকেলে করে পুরো শহরে টহল দেওয়ার বদলে রোলার স্কেট ব্যবহার করা সহজ হবে বলে মনে করেন ফররুখ।

পাকিস্তানের পুলিশের এই বিশেষ দলের সদস্যরা রোলার স্কেট (চাকা লাগানো বিশেষ জুতা) ব্যবহার করে অপরাধী আটক করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন
ছবি: রয়টার্স

তবে করাচির বেশির ভাগ রাস্তা রোলার স্কেটিং করার উপযুক্ত অবস্থায় নেই। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শহরটিতে প্রায় দুই কোটি মানুষের বাস। এমন জনবহুল একটি শহরের সর্বত্র রোলার স্কেট করা সম্ভব হবে না। ফররুখ আলি অবশ্য বলছেন, ‘এটা মোটে শুরু। এই নতুন ব্যবস্থায় আমরা উপকৃত হব। গলি–ঘুপচিতে অপরাধীকে তাড়া করা আমাদের জন্য তুলনামূলক সহজ হবে।’

এই বিশেষ পুলিশ দলের কার্যক্রমের বিষয়ে একটি সতর্কবার্তাও উচ্চারণ করছেন অনেকে। দলটির বিশেষ প্রশিক্ষণের কিছু ছবি ও ভিডিও চিত্র প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, দলটির সদস্যরা ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। রোলার স্কেটে চলাচলের সময় নিরাপত্তার ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও ফররুখ আলি জানিয়েছেন, দলটির সদস্যরা শুধু ছোট হাতবন্দুক ব্যবহার করবেন।

রোলার স্কেট ব্যবহার করে অপরাধী আটক করার জন্য আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত এই দলের সদস্যদের কঠোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আশা, এ দলের মাধ্যমে করাচির রাস্তায় অপরাধের পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে
ছবি: রয়টার্স

আশা করা হচ্ছে, আগামী মাস থেকে করাচিতে এই দলের পুলিশ সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। তবে এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু কিছু এলাকায় এ দল কাজ করতে শুরু করেছে।