আস্থা ভোটে জিতলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান
পাকিস্তানের পার্লামেন্টের আস্থা ভোটে জিতেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আজ শনিবার নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে এই ভোট অনুষ্ঠিত হয়। আস্থা ভোটে ১৭৮টি ভোট পেয়েছেন তিনি।
পার্লামেন্টে আজ যখন এই ভোট অনুষ্ঠিত হয়, তখন এই ভবনের বাইরে সরকারের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে এবং বিরোধীরা এই ভোট বর্জন করেন।
চলতি সপ্তাহে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট নির্বাচনে হেরে যান সরকারের অর্থমন্ত্রী আবদুল হাফিজ শেখ। এরপর নিজ থেকেই আস্থা ভোটের ডাক দেন ইমরান খান। এই আস্থা ভোটে জেতার জন্য পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদে ১৭২টি ভোটের প্রয়োজন ছিল। এর চেয়ে ৬টি ভোট বেশি পেয়েছেন ইমরান। স্পিকার আসাদ কায়সার এসব তথ্য জানান।
২০১৮ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসেন ইমরান খান। ওই নির্বাচনে তাঁর জোট ১৭৬টি আসন পেয়েছিল।
এদিকে আজ শনিবার ভোট বর্জনের পর বিরোধীরা বলেছে, সিনেটে আবদুল হাফিজ শেখের পরাজয়ের মধ্য দিয়েই এটা নিশ্চিত হয়েছে জাতীয় পরিষদে ইমরানের আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। এই আস্থা ভোটের কোনো প্রয়োজন ছিল না।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী নেতা শহিদ খাকান আব্বাসি পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, পাকিস্তানের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করার জন্য এই আস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়।
পাকিস্তানের পার্লামেন্টে আজ শনিবার ভোট হচ্ছিল, তখন পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন ও বিক্ষোভ করছিলেন বিরোধীরা নেতারা। এ সময় সরকারের সমর্থকেরা বিরোধী নেতাদের ওপর হামলা চালান। এই ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তাঁরা আব্বাসি, বিরোধী এক নারী ও এক সিনেটরের ওপর হামলা চালান।