করাচিতে হাজারো মানুষের স্লোগান ‘ইমরান বিদায় হও’

পাকিস্তানের করাচিতে রোববার অনুষ্ঠিত সরকারবিরোধী বিক্ষোভ-সমাবেশ
ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পদত্যাগ দাবিতে দেশটির করাচি শহরে গতকাল রোববার বিরোধীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। এই বিক্ষোভে সরকারবিরোধী হাজারো নেতা-কর্মী-সমর্থক অংশ নেন। তাঁরা ‘ইমরান বিদায় হও’ বলে স্লোগান দেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইমরানকে উৎখাতের লক্ষ্যে দেশটির বিরোধী দলগুলোর জোট পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ-সমাবেশের কর্মসূচি শুরু করছে। গত শুক্রবার পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালা শহরে বিক্ষোভ-সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিরোধী দলগুলোর এই কর্মসূচি শুরু হয়। এই কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় গতকাল করাচিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (পিডিএম) ব্যানারে পাকিস্তানজুড়ে এই বিক্ষোভ-সমাবেশ চলছে। দেশটির ৯টি বড় দল মিলে গত মাসে এই জোট গঠন করা হয়।

করাচির বিক্ষোভ-সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ইমরানের উদ্দেশে দেশটির অন্যতম বিরোধী নেতা মরিয়ম নওয়াজ বলেন, ‘আপনি (ইমরান) মানুষের কর্মসংস্থান কেড়ে নিয়েছেন। মানুষের কাছ থেকে দিনে দুবারের খাবার কেড়ে নিয়েছেন।’

পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-এন) সর্বোচ্চ নেতা দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম।

করাচির সমাবেশে দেশটির সরকারবিরোধী নেতারা
ছবি: রয়টার্স

দেশটির আরেক বিরোধী নেতা বিলওয়াল ভুট্টো বলেন, ‘আমাদের কৃষকেরা বাড়িতে ক্ষুধায় ভুগছেন। আমাদের তরুণেরা হতাশ।’

বিলওয়াল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান। তাঁর বাবা আসিফ আলী জারদারি, মা বেনজির ভুট্টো। বেনজির পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

করাচির বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নেওয়া ফকির বালুচ নামের এক ব্যক্তি বলেন, মুদ্রাস্ফীতি পাকিস্তানের দরিদ্র মানুষকে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে অনেকে ভিক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন। এই সরকারের বিদায় নেওয়ার এখনই সময়।

করাচিতে সরকারবিরোধীদের বিক্ষোভ-সমাবেশ চলাকালে জনতা মুহুর্মুহু স্লোগান দেন। সমাবেশে অন্যতম স্লোগান ছিল, ‘ইমরান বিদায় হও’।

পাকিস্তানে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে সেই নির্বাচনের আগেই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পাটির প্রধানমন্ত্রী ইমরানের পদত্যাগ চাইছে বিরোধীরা।

বিরোধীদের অভিযোগ, ২০১৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে ইমরানকে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসানোর পেছনে সেনাবাহিনীর হাত রয়েছে। তিনি দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়েছেন।