নিরাপত্তা নীতিতে শান্তির কথা বলল পাকিস্তান

রাজধানী ইসলামাবাদে জাতীয় নিরাপত্তা নীতির উন্মোচন করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানে স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার প্রথমবারের মতো সমন্বিত জাতীয় নিরাপত্তা নীতি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে আঞ্চলিক শান্তি ও অর্থনৈতিক যোগাযোগের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, পাকিস্তান প্রতিবেশী ও চিরশত্রু ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চায়। খবর রয়টার্সের

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা নীতি তৈরিতে সময় লেগেছে সাত বছর। এতে বিভিন্ন খাতসংশ্লিষ্ট নীতিগুলোকে সমন্বয় করা হয়েছে। অর্থনৈতিক নিরাপত্তাকে শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

ইসলামাবাদে এক অনুষ্ঠানে সর্বসাধারণের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা নীতি প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এই নীতির কার্যকর বাস্তবায়ন আমাদের দেশের অর্থনীতির নিরাপত্তায় ব্যাপকভাবে অবদান রাখবে।’

দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, বেসামরিক ও সামরিক নেতাদের নেতৃত্বে গঠিত একটি বিভাগ এই নীতি প্রণয়ন করেছে। নীতির বিস্তারিত বিবরণ গোপন থাকবে।
এ নিরাপত্তা নীতিতে প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক এবং পাকিস্তানকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ খোঁজার কথা বলা হয়েছে।

জাতীয় নিরাপত্তা নীতিতে বলা হয়েছে, ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিকভাবে অবস্থানের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তান অর্থনৈতিক নিরাপত্তা জোরদার করতে চায়। দেশের বৃহত্তর অঞ্চলকে উৎপাদন, বিনিয়োগ ও সংযোগ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।
নিরাপত্তা নীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে শান্তি ও সুসম্পর্ক রক্ষার কথা বলেছে পাকিস্তান। তবে এ–ও বলেছে, ভারতের নেতাদের রাজনৈতিকভাবে আক্রমণাত্মক নীতির কারণে এমন সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব না–ও হতে পারে।

পাকিস্তান ও ভারত উভয় দেশের পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। ১৯৪৭ সালের পর দেশ দুটির মধ্যে কয়েকবার যুদ্ধ হয়েছে। ২০১৯ সালে ভারত ও পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর মধ্যে সংঘাতও হয়েছে।

লেখক ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক আয়েশা সিদ্দিকা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এটা (পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা নীতি) পাকিস্তানের উদ্বেগ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার একটি তালিকার সংক্ষিপ্তসারের মতো। কিন্তু সম্পদের অভাব মোকাবিলা বা ঐকমত্য কীভাবে গড়ে উঠবে, সেসব বিষয়ের কোনো উল্লেখ এখানে নেই।’