পাকিস্তান সিনেটে জয় নিয়ে আশাবাদী সরকারি ও বিরোধী উভয়ই
পাকিস্তান পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট নির্বাচনে সরকার ও বিরোধী উভয় পক্ষই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদে গোপন ব্যালটেই ভোট গ্রহণ চলছে।
নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে সিনেটের ৩৭টি আসনে ৭৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিন্ধু, খাইবার, পাখতুনখাওয়া, বালুচিস্তান ও ইসলামাবাদ থেকে এসব প্রার্থী লড়ছেন। খবর ডনের।
আজ বুধবার দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী চৌধুরী ফুয়াদ হুসেন টুইটারে বলেন, ইসলামাবাদে সিনেট নির্বাচনে পিটিআই ‘সহজেই জিতবে’। তিনি আশা করেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা হাফিজ শেখ ‘১৮০টির বেশি ভোট’ পাবেন। যেখানে সব বিরোধী দল সম্মিলিতভাবে পাবে ১৫৫ ভোট।
পরিকল্পনামন্ত্রী আসাদ ওমর ভোট দেওয়ার আগে টুইট করে বলেন, ‘সন্ধ্যার মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে কোন সিনেটররা নির্বাচিত হবেন। ক্ষমতাসীন জোট ও বিরোধী দলের সদস্যদের মনোবল দেখেই এই পার্থক্য বোঝা যায়। ’
কাশ্মীরবিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান সেরায়ার খান আফ্রিদি দাবি করেছেন, ‘কালোটাকা ব্যবহারের দরজা বন্ধ করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রবেশের জন্য আজ নতুন যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে ।’ এটি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অধীনে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে নেতৃত্ব দেবে। আজকের সূর্য অস্তের সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতিবাজ রাজনীতিকেরাও ডুবে যাবে।
সিনেটর ফয়সাল জাবেদ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় দাবি করেন, বিরোধীদের সব অপচেষ্টা সত্ত্বেও সিনেটের ফল যখন আসবে দেখা যাবে ন্যায়বিচার ও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিজয় হবে।
এদিকে বিরোধী দল পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও নির্বাচনে ‘খুব ভালো’ বোধ করছেন বলে দাবি করেন। সিনেট নির্বাচনের ফল নিয়ে কী আশা করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিলাওয়াল বলেন, সরকার ভাবছিল তারা সহজেই এ নির্বাচনে জয়ী হবে। কিন্তু এখন তারা হেরে যাওয়ার ভয়ে আছে। কারণ সরকার বারবার নির্বাচনের আগের রাত পর্যন্ত তা পেছাতে চাইছিল এবং কীভাবে বিরোধী দলের প্রার্থীদের অযোগ্য ঘোষণা করা যায়, সেই চেষ্টা করে গেছে।