পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দাদের ‘ফাঁদ এড়াতে’ ভারতীয় অ্যাপ

পাকিস্তান ও ভারতের পতাকা
ছবি : এএফপি

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নারী গোয়েন্দাদের ব্যবহার করে ভারতের সেনাসদস্যদের কাছ থেকে স্পর্শকাতর তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ বেশ পুরোনো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় ও সম্পর্ক তৈরির পর কৌশলে তা কাজে লাগান নারী গোয়েন্দারা। এ কৌশল ‘হানি ট্র্যাপ’ নামেও পরিচিত। কথিত এই ফাঁদ থেকে সেনাদের সুরক্ষিত রাখতে ভারত এবার বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে।

ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ভারতের সেনাবাহিনী হোয়াটসঅ্যাপের মতো একটি নিজস্ব যোগাযোগের অ্যাপ তৈরি করেছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর তৈরি যোগাযোগের অ্যাপটির নাম ‘সিকিউর অ্যাপ্লিকেশন ফর ইন্টারনেট’ বা এসএআই। এটি সেনাসদস্যদের কাছ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হওয়া ঠেকাবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের এক সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, ‘অ্যাপ্লিকেশনটি সহজ ও নিরাপদ। এতে এন্ড-টু-এন্ড নিরাপদ ভয়েস, টেক্সট ও ভিডিও কল সেবা থাকবে। ইন্টারনেটে অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে এটি চালানো যাবে। এতে মিলিটারি গ্রেড মান বজায় রাখা হয়েছে।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা টেলিগ্রামের মতোই অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে। এতে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন প্রযুক্তিও রয়েছে। এতে স্থানীয় সার্ভার ও চাহিদা অনুযায়ী কোডিং বসিয়ে ফিচার তৈরি করা হয়েছে। এটি আর্মি সাইবার গ্রুপ ও সার্ট-ইনের পক্ষ থেকেও পরীক্ষা করা হয়েছে। শিগগিরই অ্যাপটি আইওএস প্ল্যাটফর্মে আনা হবে।

ভারতের একাধিক গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, পাকিস্তান ও চীনের গোয়েন্দারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় সেনাদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেন। এরপর কৌশলে স্পর্শকাতর তথ্য বের করে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অফিসের কোনো কাজে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যেসব কর্মকর্তার কাছে স্পর্শকাতর তথ্য থাকে, তাঁদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে ফেলতে বলা হয়েছে।

এর আগে বেশ কয়েকবার পাকিস্তানি নারী গুপ্তচরেরা ভারতীয় সেনাদের হানিট্র্যাপ কৌশলে আকৃষ্ট করেছেন। ২০১৮ সালে এক গ্রুপ ক্যাপটেন পর্যন্ত হানি ট্র্যাপের শিকার হন।