পাকিস্তানে সাবেক এক রাষ্ট্রদূতের মেয়েকে ধর্ষণ ও শিরশ্ছেদ করে হত্যার বিচার শুরু

আজ আদালতে হাজির করা হয় জহির জাফরকে
ছবি: এএফপি

পাকিস্তানে সাবেক এক রাষ্ট্রদূতের মেয়েকে ‘ধর্ষণের পর শিরশ্ছেদ’ করে হত্যার বিচার শুরু হয়েছে। আজ বুধবার ইসলামাবাদে এ বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়।

গত জুলাইয়ে ২৭ বছরের নূর মুকাদ্দামকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে তখন দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। একই সঙ্গে লিঙ্গসহিংসতা আইনের সংস্কারের দাবি ওঠে।

নূর মুকাদ্দামের বাবা শওকত মুকাদ্দাম দক্ষিণ কোরিয়া ও কাজাখস্তানে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।

অভিযুক্ত আসামি জহির জাফর এক শিল্পপতির ছেলে। তিনি এ হত্যার দায় অস্বীকার করেছেন।

আদালতের বাইরে আইনজীবী শাহ খাওয়ার এএফপিকে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হয়েছে। প্রথম সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। পরবর্তী শুনানিতে আরও পাঁচজন সাক্ষ্য দেবেন।

এ হত্যাকাণ্ডে দেওয়া পুলিশি প্রতিবেদনে বলা হয়, বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মুকাদ্দামের ওপর হামলা করা হয়। তিনি বেশ কয়েকবার জাফরের বাড়ি থেকে পালাতে চেষ্টা করেও পারেননি। বারবারই জাফরের বাড়ির কর্মীরা তাঁকে বাধা দিয়েছেন। জাফর তাঁকে ধর্ষণ করেন এবং লোহার মুষ্টি দিয়ে আঘাত করেন। এরপর তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিরশ্ছেদ করেন।

এ মামলায় অন্য অভিযুক্ত ১১ জনের মধ্যে জাফরের মা–বাবা, বাড়ির কাজের লোকজন এবং প্রমাণ নষ্ট করে ফেলতে চেয়েছিলেন এমন ব্যক্তিরা।

এ ঘটনার প্রতিবাদে তখন দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়
ফাইল ছবি: এএফপ

দেশটির সরকারি এক জরিপে দেখা গেছে, ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের ২৮ শতাংশ শারীরিক সংহিসতার শিকার হয়েছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাস্তবে এ সংখ্যা আরও বেশি। কারণ, অনেক অভিযোগ লিপিবদ্ধই হয় না।

অভিজাত পরিবার ও দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলেও বিচারের হাত থেকে অভিযুক্ত জাফর রেহাই পাবেন না, এমন আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।