পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণ বাড়ল

ডলার
ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল তেহরিক-ই-ইনসাফ ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিভিন্ন বৈদেশিক সংস্থা ও বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে প্রায় সাড়ে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ করেছে। গত অর্থবছরের তুলনায় এ ঋণ ২৫ শতাংশ বেশি। ওই সময় ঋণের পরিমাণ ছিল ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। খবর ডনের।

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাগুলো এই টাকার ৯৯ শতাংশ ঋণ এবং ১ শতাংশ মঞ্জুরি হিসেবে প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী যে ১০ দশমিক ৪৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে পাকিস্তান, তার মধ্যে ৬ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ আসবে বহুজাতিক সংস্থার কাছ থেকে, ৩ দশমিক ৪৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আসবে বৈদেশিক বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে এবং ১৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আসবে দ্বিপক্ষীয় ধার হিসেবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক অর্থায়নের বড় অংশ, যার পরিমাণ ৩ দশমিক ৪৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, তা বাণিজ্যিক ঋণ পরিশোধে ব্যয় হবে। এই অর্থ মোট ঋণের ৩৩ শতাংশ এবং সংগৃহীত হবে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৩০ শতাংশ ঋণের প্রতিশ্রুতি নিয়ে শীর্ষ ঋণদাতার তালিকায় নাম উঠিয়েছে। বিশ্বব্যাংক ২২ শতাংশ, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি) ৭ শতাংশ এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) ৫ শতাংশ ঋণ দিয়েছে। এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় ৯৮ শতাংশ ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয় হয়েছে, বাজেট সহায়তা ক্যাটাগরিতে নতুন এই প্রতিশ্রুতির ৬৯ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, বাজেট সহায়তায় এই বিপুল বরাদ্দ রাখার কারণ কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট আর্থসামাজিক ক্ষতির প্রভাব মোকাবিলা করা ও বৈদেশিক ধার পরিশোধের যেসব শর্ত, তা পূরণ।

প্রকল্পের অর্থায়নে ঋণের ২৬ শতাংশ এবং ৫ শতাংশ ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে।

এই ১০ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ ও মঞ্জুরি বহুজাতিক, দ্বিপক্ষীয় এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প ও কর্মসূচির জন্য। এর মধ্যে ৫ দশমিক ৬৪৫ বিলিয়ন বা ছাড় হওয়া ঋণের ৫৩ শতাংশ আসছে এডিবি, আইডিবি, এআইআইবি এবং বিশ্বব্যাংক থেকে। বৈদেশিক বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে আসছে ৩ দশমিক ৩৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ছাড় হওয়া ঋণের ৩২ শতাংশ। এই অর্থ মূলত ব্যয় হবে বাণিজ্যিক ঋণ শোধের জন্য। এর বাইরে ১ দশমিক ১৬৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ছাড় হওয়া ঋণের ১৫ শতাংশ দ্বিপক্ষীয় ঋণ শোধে ব্যয় হওয়ার কথা। এই ঋণ সৌদি আরব, চীন ও যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে করেছিল পাকিস্তান।

২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৭৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর আগের অর্থবছরে ছিল ৭৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছরের তুলনায় ঋণ বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ।