মুম্বাই হামলায় সন্দেহভাজন লাকভির ৫ বছরের জেল

জাকিউর রহমান লাকভি
এএফপি ফাইল ছবি

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থ জোগান দেওয়ার দায়ে জঙ্গি দল লস্কর-ই-তাইয়েবার জ্যেষ্ঠ নেতা জাকিউর রহমান লাকভিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন পাকিস্তানের একটি আদালত। লাকভির বিরুদ্ধে ভারতের অভিযোগ, তিনি ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত। ওই হামলায় কমপক্ষে ১৬০ জন নিহত হন।

বিবিসির আজ শনিবারের খবরে জানা যায়, হামলার জন্য জঙ্গি দল লস্কর-ই-তাইয়েবাকে অর্থ সরবরাহের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন লাকভি।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে স্থানীয় সময় গত শনিবার লাকভিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানে তিনি ওষুধের দোকান চালাতেন। পাঞ্জাবের সন্ত্রাসবিরোধী দল বলছে, লাকভি ওই দোকানের মাধ্যমে জঙ্গিদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতেন।

গত সপ্তাহে লাকভির আটক হওয়ার ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গিবাদ সমর্থন ও অর্থায়ন করায় লাকভিকে দোষী করার ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগ টুইটে জানায়, ‘আমরা লাকভির বিচার ও রায়ের ওপর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছি। মুম্বাই হামলায় জড়িত থাকায় তাঁকে জবাবদিহি করতে আহ্বান জানাই।’

ভারতের অভিযোগ, ২০০১ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশটির পার্লামেন্টে সশস্ত্র হামলায় জড়িত ছিল লস্কর-ই-তাইয়েবা।

২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে ১০ জন বন্দুকধারী বিলাসবহুল দুটি হোটেল, একটি ট্রেনস্টেশন, একটি হাসপাতাল, একটি ইহুদি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় হামলা চালায়।

ভারতের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, লাকভির সঙ্গে হামলার সময় হামলাকারীদের যোগাযোগ হয়েছে।

২০০৮ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানে লাকভিকে আটক করা হয়। ২০০৯ সালে তাঁকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে লাকভি জামিনে মুক্তি পান।

অভিযোগ রয়েছে, কারাগারে পাঁচ বছর থাকার সময় বিশেষ সুবিধা পান লাকভি। তাঁর সঙ্গে অতিথিরা দেখা করতে পারতেন। কারাগারে বসে তিনি মোবাইল ও ইন্টারনেট সুবিধা পেতেন। এমনকি লস্কর-ই-তাইয়েবার সদস্যদের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল।

গত বছর লস্কর-ই-তাইয়েবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সাইদকে পাকিস্তানে কারাগারে পাঠানো হয়।

ভারতের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, পাকিস্তান গোপনে জঙ্গিদের সমর্থন দিচ্ছে। ভারত বলছে, সন্ত্রাসীদের অর্থায়নবিষয়ক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক এফএটিইয়ের চাপের কারণে পাকিস্তান জঙ্গিদের বিচার করছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এক বৈঠকে এফএটিইয়ের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে বলে আশা করছে পাকিস্তান।