যুক্তরাষ্ট্রকে ‘কড়া প্রতিবাদ’ পাঠাবে পাকিস্তান

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে গতকাল বৃহস্পতিবার সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
ছবি: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত

পাকিস্তানের সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের এমন অভিযোগের পর বৈঠকে বসে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে পাকিস্তানের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ’-এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিবাদপত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। খবর ডনের

ইমরানের সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদে গত ২৮ মার্চ অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধী দলগুলো। রোববার ওই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হতে পারে। অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে যখন পাকিস্তান সরকারের অবস্থা নড়বড়ে, সেই সময় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ইমরান খান।

ভাষণে ইমরান বলেন, জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাবের পেছনে একটি দেশের হাত রয়েছে। সেই দেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতের হাত দিয়ে একটি ‘হুমকির চিঠি’ পাঠানো হয়েছে। ভাষণের একপর্যায়ে মুখ ফসকে অভিযুক্ত দেশটি যুক্তরাষ্ট্র বলে উল্লেখ করেন তিনি। পরে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করে নেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের পরই বৈঠকে বসে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল। সেখানে ওই চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে এ নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে নিরাপত্তা কাউন্সিল। চিঠিতে ‘বিদেশি কর্মকর্তা’দের ব্যবহার করা ভাষা ‘কূটনীতিসুলভ না’ বলেও উল্লেখ করা হয়।

নিরাপত্তা কাউন্সিলের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই চিঠিতে দেওয়া বার্তা ‘পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্পষ্ট হস্তক্ষেপ’। ‘যেকোনো পরিস্থিতিতেই এ ধরনের পদক্ষেপ অগ্রহণযোগ্য’ বলেও জোর দেওয়া হয়েছে।

নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এ ঘটনার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও ইসলামাবাদে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে একটি ‘কড়া প্রতিবাদপত্র পাঠানো হবে’।

নিরাপত্তা কাউন্সিলের ওই বিবৃতিকে ভিন্ন নজরে দেখছেন ইমরানের সমালোচকেরা। তাঁদের ভাষ্য, ওই চিঠি যে হুমকির ও সেটি বিদেশি চক্রান্তের একটি প্রমাণ, ইমরানের এমন দাবির সঙ্গে কাউন্সিলের সদস্যরা একমত হননি।

এদিকে অনাস্থা প্রস্তাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নাকচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হুমকির চিঠি নিয়ে ইমরানের বক্তব্যের পর এ নিয়ে কথা বলতে বৃহস্পতিবারই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ডন। মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘অভিযোগগুলোর কোনো সত্যতা নেই।’