শরণার্থীদের নিয়ে মালালার বই

‘আমি পোস্টারের খুব একটা ভক্ত না। কিন্তু আমার শয়নকক্ষে বেনজির ভুট্টোর ছবি রয়েছে।’ গত সোমবার ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (বিবিসি) সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এ কথা জানালেন শান্তিতে সবচেয়ে কম বয়সে নোবেলজয়ী পাকিস্তানের নারী অধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজাই। লেখালেখি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনের বাইরে মালালা কেমন, তাই বিবিসির সাক্ষাৎকারে তুলে আনার চেষ্টা করা হয়। সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া মালালার সর্বশেষ বইয়ে তাঁর ও তাঁর মতো অন্য শরণার্থী মেয়েদের কাহিনি তুলে ধরেছেন মালালা।

মালালার ক্রিকেটপ্রীতির কথা এর আগেও শোনা গেছে। এখন জানা গেল,  হাস্যরসাত্মক নাটক-সিনেমাও তাঁর বেশ ভালো লাগে। পড়াশোনা, লেখালেখি ও ক্যাম্পেইনের বাইরে কী করা হয়, জানতে চাইলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে ওঠা মালালা ইউসুফজাই বলেন, ‘আরাম করা বলতে আমি বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, ক্রিকেট খেলা, আড্ডা দেওয়া কিংবা কোথাও খেতে বা ঘুরতে যাওয়া বুঝি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শয়নকক্ষ কতটা পরিপাটি রাখেন? উত্তর ছিল, যথেষ্ট চেষ্টা করেন রাখার। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভর্ৎসনা শুনতে হয় মায়ের। কক্ষের দেয়ালে ছবি বা পোস্টার আছে কি না, জানতে চাইলে বলেন, তাঁর শয়নকক্ষে বেনজির ভুট্টোর ছবি রয়েছে। ১৯৯৩ সালে প্রথম নারী হিসেবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন বেনজির ভুট্টো।

২০১২ সালে তালেবানের হামলার শিকার হন মালালা। এখন তিনি ও তাঁর পরিবার বার্মিংহামে বসবাস করছে। জানালেন, মানুষের সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে কথা বললে পরিস্থিতি অনেকটাই অনুকূলে চলে আসে। তাই যুক্তরাজ্যে বসবাসের শুরুর দিকে সমস্যা হলেও এখন আর হয় না।

৮ জানুয়ারি মালালার একটি বই বেরিয়েছে। নাম উই আর ডিসপ্লেসড। বইটিতে তিনি নিজের এবং তাঁরই মতো বয়সে নবীন নারী শরণার্থীদের কথা সামনে এনেছেন, যাঁরা বাড়ি ছেড়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। বইটি লেখার কারণ হিসেবে মালালা বলেছেন, ‘আমরা শরণার্থী ও অভিবাসীদের কথা শুনি। কিন্তু তাদের কাছ থেকে শুনি না। বিশেষ করে কম বয়সী নারী শরণার্থীদের কথা।’