সরকার বদলের বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু: ইমরান

ইমরান খান
ছবি: এএফপি

অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার এক দিন পর পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছেন, আজ থেকে শাসন পরিবর্তনে বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা নিয়ে আবার সংগ্রাম শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের জিও টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইমরান খান তাঁর অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে রোববার বিকেলে লিখেছেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু আবার সরকার বদলের বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু হয়েছে।

পিটিআই চেয়ারম্যান আরও লিখেছেন, দেশের মানুষ সর্বদা পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা করেছে।

যে বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণে অনাস্থা ভোটে ইমরানের সরকার পতন হয়েছে, তার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ইমরানের দল পিটিআই। এরপরই ইমরানের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এ টুইট করা হয়।

এর আগে শনিবার রাতে পাকিস্তানে এক ঐতিহাসিক অনাস্থা ভোটে হেরে যান ইমরান। পাকিস্তানে অনাস্থা ভোটের মধ্য দিয়ে কারও প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর ঘটনা এটিই প্রথম। এর আগে দেশটির কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হলেও তাঁরা টিকে গিয়েছিলেন।

জিয়ো নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ১৪৯ আসনে জয় পেয়েছিল পিটিআই। তখন পিএমএল-কিউ, এমকিউএম-পি ও বিএপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠন করেছিলেন ইমরান। ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস হয় চলতি বছরের ৯ এপ্রিল মধ্যরাতে। আর এর মধ্য দিয়ে তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের অবসান হয়।

শনিবার রাতে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে তাঁর বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর এ ভোটাভুটিতে ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ১৭৪টি। ৩৪২ আসনের জাতীয় পরিষদে প্রস্তাবটি পাসের জন্য দরকার ছিল ১৭২ ভোট।

আরও পড়ুন

ভোটাভুটি শুরুর আগমুহূর্তে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার। পদত্যাগের ঘোষণায় স্পিকার বলেছেন, মন্ত্রিসভা থেকে ‘গুরুত্বপূর্ণ নথি’ পেয়েছেন তিনি; যা বিরোধী দলের নেতা এবং পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতিকে দেখার জন্য তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

আসাদ কায়সারের পদত্যাগের পর প্যানেল অব চেয়ারের সদস্য আয়াজ সাদিকের সভাপতিত্বে অধিবেশনটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভোট সম্পন্ন হওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ১৭৪ সদস্য ভোট দিয়েছেন। ফলস্বরূপ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হয়েছে। এ সময় ইমরান খান পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন না।
ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার পর বিরোধী নেতারা তাঁদের ভাষণ দিতে শুরু করেন। সোমবার সকাল ১১টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করা হয়।

আরও পড়ুন