কোটি ডলার খরচায় ভানুয়াতুর প্রেসিডেন্টের জন্য চীনের নতুন প্রাসাদ
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ভানুয়াতুর সরকারের জন্য বিরাট প্রেসিডেন্ট প্রাসাদসহ বেশ কিছু ভবন নির্মাণ করে দিয়েছে চীন। এই প্রকল্পে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করেছে দেশটি। শিগগিরই এসব ভবনে স্থানান্তর হতে যাচ্ছে সরকারি দপ্তরগুলো। এদিকে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত দেশটিতে চীনের এমন উপস্থিতি পশ্চিমা শিবির ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
চীনের অর্থায়ন–সংবলিত একটি বড় বিলবোর্ডের সামনে সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ভবনের চাবি ভানুয়াতু সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী শার্লট সালওয়াই নতুন প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ভবন উদ্বোধনের ঘোষণা দেন।
ভানুয়াতুর চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, এই প্রকল্পের অধীনে চীনের নতুন অর্থ মন্ত্রণালয় নির্মাণ এবং পররাষ্ট্র বিভাগের সংস্কারও করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক লোয়ি ইনস্টিটিউটের প্রাক্কলন অনুযায়ী, ভানুয়াতু সরকারের জন্য এসব ভবন নির্মাণে ২ কোটি ১০ লাখ ডলারের বেশি খরচ করেছে চীন। তিন লাখের কম জনসংখ্যার উন্নয়নশীল দেশটিতে সহায়তা প্রকল্প হিসেবে এটি অনেক বড় একটি অঙ্ক।
চীনের দূতাবাস জানায়, প্রকল্পটি ভানুয়াতুকে আরেকটি ল্যান্ডমার্ক ভবন উপহার দিয়েছে। দেশ দুটির মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের জন্য এটি একটি মাইলফলক।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন ভবনগুলোয় হাজারো সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারী কাজ করতে পারবেন। সে জন্য চীনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে কোনো ফি দিতে হবে না।
লোয়ি ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, ভানুয়াতু চীনের কাছে অনেক বেশি ঋণগ্রস্ত। দেশটির অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রায় ৪০ শতাংশই চীনের এক্সিম ব্যাংক থেকে নেওয়া।
ভানুয়াতু দ্বীপপুঞ্জের বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্পে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে চীন। বিষয়টি পশ্চিমা প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতাকে আরও তীব্র করে তুলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের ‘ঋণের–ফাঁদ কূটনীতি’র কারণে অব্যাহতভাবে নড়বড়ে হয়ে পড়ছে ভানুয়াতু এবং টোঙ্গা, সলোমন দ্বীপপুঞ্জসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনীতি।