পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিধসে শতাধিক নিহতের আশঙ্কা

ভূমিধসের পর ব্যাগ হাতে পাপুয়া নিউগিনির এঙ্গা রাজ্যের মানুষ। ২৪ মে, ২০২৪ছবি: রয়টার্স

পাপুয়া নিউগিনির ছয় গ্রামে ভূমিধসে শতাধিক মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন, অস্ট্রেলিয়ার সরকারি প্রচারমাধ্যম এবিসি এ তথ্য জানিয়েছে। পাপুয়া নিউগিনি সরকারের পক্ষ থেকে এখনো প্রাণহানির সংখ্যা জানানো হয়নি।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে পাপুয়া নিউগিনির এঙ্গা রাজ্যে ভূমিধসের এ ঘটনা ঘটে। সে সময় বেশির ভাগ গ্রামবাসী ঘুমিয়ে ছিলেন।

রাজ্যের গভর্নর পিটার ইপাটাস বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ছয়টির বেশি গ্রামে ভূমিধস হয়েছে। এতে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।

চিকিৎসা দল, সামরিক বাহিনীর সদস্য, পুলিশ ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

পাপুয়া নিউগিনি রেডক্রসের অন্তর্বর্তীকালীন মহাসচিব জ্যানেট ফিলমোন এএফপিকে জানান, ভূমিধসের জায়গাটি প্রত্যন্ত গ্রামে। সেখানে জরুরি সেবা বা ত্রাণ পৌঁছাতে দুই দিন লেগে যেতে পারে।

রেডক্রস ধারণা করছে, হতাহতের সংখ্যা ১০০ থেকে ৫০০ পর্যন্ত হতে পারে। তবে হতাহতের বিষয়ে তারা আরও পরিষ্কার ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানান ফিলমোন।

ভূমিধসের কারণ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে রেডক্রস কর্মকর্তা ফিলমোন বলছেন, ওই এলাকায় ভূমিকম্পের খবর পাওয়া যায়নি। তবে সেখানে সোনার খনি আছে। মানুষ গ্রামসংলগ্ন পাহাড়ে সোনার জন্য খোঁড়াখুঁড়ি করে থাকতে পারে। এ ছাড়া আরেকটি কারণ হতে পারে ভারী বৃষ্টি।

বিষুবরেখার দক্ষিণের কাছে অবস্থিত হওয়ায় পাপুয়া নিউগিনির ওই এলাকায় প্রায়ই ভারী বৃষ্টি হয়।

গত মার্চ মাসে পাশের রাজ্যে ভূমিধসে অন্তত ২৩ জন মারা গিয়েছিলেন।