ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের কার্বন নিঃসরণের মাত্রা পরিমাপ করবে কানাডার স্যাটেলাইট
কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ইস্পাত কারখানার মতো ব্যক্তি মালিকানাধীন স্থাপনাগুলো থেকে কী পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে তা শনাক্তের জন্য একটি কানাডীয় কোম্পানি কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) উৎক্ষেপণ করেছে। কানাডায় কার্বন নিঃসরণের বিষয়টি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কোম্পানি জিএইচজিস্যাট গতকাল শনিবার এটি উৎক্ষেপণ করেছে।
জিএইচজিস্যাট বলেছে, কৃত্রিম উপগ্রহটির নাম ভ্যানগার্ড। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ভ্যান্ডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেজ থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
দূষণের মধ্য দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহির মুখোমুখি করতে মহাকাশভিত্তিক প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।
শিল্পকারখানার মালিকদের মধ্যে যাঁরা কার্বন নিঃসরণ কমাতে চান, তাঁরা চাইলে জিএইচজিস্যাট থেকে তথ্য কিনতে পারবেন। বিভিন্ন দেশের সরকার ও বিজ্ঞানীরাও তথ্য কিনতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে যে পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়, তার প্রায় ৮০ শতাংশই কার্বন ডাই–অক্সাইড। এর বেশির ভাগই নির্গত হয় বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বড় বড় শিল্পকেন্দ্রগুলো থেকে।
জিএইচজিস্যাট বলছে, এখন বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই–অক্সাইডের মাত্রা পর্যবেক্ষণকারী যে স্যাটেলাইটগুলো মোতায়েন আছে সেগুলো প্রতিষ্ঠানভিত্তিক কার্বন নিঃসরণের মাত্রা নির্ণয়কে প্রাধান্য দেয় না।
জিএইচজিস্যাটের মন্ট্রিয়লভিত্তিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্টিফেন জেরমাইন বলেন, বায়ুমণ্ডলে নির্গত হওয়া কার্বন ডাই–অক্সাইডের মাত্রা পরিমাপ ও পর্যবেক্ষণের সাধারণ প্রবণতা তৈরির ক্ষেত্রে ভ্যানগার্ডের তথ্য-উপাত্তগুলো সহায়ক হবে।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্যাটেলাইটের তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, বায়ুমণ্ডলে মিথেন নিঃসরণের মাত্রা ধারণার চেয়ে অনেক বেশি। জেরমাইন বলেছেন, তিনি মনে করেন কার্বন নিঃসরণের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে।