অবরোধ তুলে নিলেন পেরুর বিক্ষোভকারীরা

সড়ক অবরোধ করে রাখেন চামবিভিলাকস শহরের বাসিন্দারা
ছবি : রয়টার্স

এক সপ্তাহ ধরে চীনের মালিকানাধীন লা বাম্বাস নামের একটি তামার খনির রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিলেন পেরুর বিক্ষোভকারীরা। ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষ চলছিল।

গত সোমবার দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী গুইদো বেলিডো বিক্ষোভকারীদের দুই মাসের মধ্যে সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তাঁরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত সোমবার বেলিডো চামবিভিলাকস প্রদেশের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁদের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই রাস্তা থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান। চামবিভিলাকস ডিফেন্স ফ্রন্টের সদস্য কার্লোস কুইসেপ এ তথ্য জানান।

কুইসেপ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেলিডো ৬০ দিনের সময় দিয়েছেন বলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো ছবিতে দেখা যায়, পেরুর নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘোড়ায় চড়ে চামবিভিলাকস শহরে আলোচনায় অংশ নিতে আসেন বেলিডো।

গত শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্ট কাস্তিলো কট্টরপন্থী বেলিডোকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর দেশব্যাপী উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে।

লা বাম্বাস পরিচালনা করে অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক চীনা কোম্পানি এমএমজি লিমিটেড। এখান থেকে প্রতিবছর চার লাখ টন তামা উৎপাদিত হয়। এটি পেরুর অন্যতম বৃহৎ তামা উৎপাদনকারী খনি। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তামা উৎপাদনকারী দেশ পেরু।
লা বাম্বাস খনিটিতে যাওয়ার রাস্তায় স্থানীয় সম্প্রদায় প্রায়ই সড়ক অবরোধ করে থাকে।

গত বছরে সড়ক অবরোধের কারণে সেখানে উৎপাদন ব্যাহত হয়।

পেরুর নতুন খনিমন্ত্রী ইভান মেরিনো আগুয়ার পেরুতে চীনা বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বেলিডো চামবিভিলাকসে যান।

এদিকে চামবিভিলাকসের অবরোধ প্রত্যাহারের পর পেরুর প্রেসিডেন্ট কাস্তিলো এক টুইটে বলেছেন, ঘটনাটি প্রমাণ করে তাঁর সরকার সামাজিক সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান বের করার প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে।