প্রবাসী কিউবানদের মিশ্র অনুভূতি

বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুতে তাঁর নিজের দেশ কিউবা এবং বাইরের বিশ্বের মিশ্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। কাস্ত্রোর মৃত্যু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অন্যতম সর্বোচ্চ আলোচিত বিষয় হয়ে ওঠে।
বিবিসির পক্ষ থেকে কিউবা ছেড়ে বাইরে পাড়ি জমানো কয়েকজনের কাছে কাস্ত্রোর মৃত্যুর ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। তাঁরা জানিয়েছেন মিশ্র অনুভূতি। তাঁদের কয়েক জনের কথা:
লিলিয়াম কেসাদা: ১৪ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় যাওয়া লিলিয়াম কেসাদা বলেন, ‘আমি কাস্ত্রোর প্রতি আমার বাবা-মায়ের ঘৃণা ও দেশের দরিদ্র, নিঃস্বদের জন্য তাঁর অবদান দুটোই বুঝি। তবে কাস্ত্রোর দমনমূলক শাসন আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি আমি উপেক্ষা করতে পারি না।’
স্পেনে পড়াশোনা করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তরুণ: ‘ফিদেল কাস্ত্রো খুব বুদ্ধিমান মানুষ ছিলেন। তাঁর ছিল সাহস, ছিল প্রজ্ঞা। কিন্তু ক্ষমতা মানুষকে নষ্ট করে। তাঁর ক্ষেত্রেও সেটা ঘটেছিল।’
যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যামে বাস করা দুই কিউবান: তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে মনে হলো, পরিবারেরই একজন যেন মারা গেছেন। তিনি ওই পরিস্থিতিতে যা করা দরকার ছিল তা-ই করেছিলেন। ছোট একটি দ্বীপদেশে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সামাজিক সংস্কার আনতে গেলে আপনার হাতে খুব বেশি বিকল্প থাকে না।