ব্রাজিলে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০০
ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাত, বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১০০ হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এবং ব্রাজিলের সংবাদপত্র ফোলহা দে সে পাওলো এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল–জাজিরার।
পেরনামবুকো রাজ্যের রেসিফে শহরের আশপাশের দরিদ্র এলাকায় ভূমিধসের পর পুরো এলাকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, কমপক্ষে ১৪ জন এখনো নিখোঁজ।
গত সোমবার দুর্যোগকবলিত এলাকায় যান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সাধ্যমতো সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
দক্ষিণাঞ্চলীয় বাহিয়া ও মিনাস জেরাইস রাজ্যের পর্বতগুলোয় সাম্প্রতিক দুর্যোগের প্রসঙ্গ টেনে আনেন বলসোনারো। গত বছর এসব এলাকায় বন্যা ও ভারী বৃষ্টির কারণে কয়েক শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছে হাজারো মানুষ।
বলসোনারো বলেন, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে মহাদেশসম আয়তনের একটি দেশে এসব দুর্যোগ হচ্ছে। অবশ্যই আমরা সবাই দুঃখভারাক্রান্ত। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। আমাদের বড় লক্ষ্য হলো পরিবারগুলোকে সান্ত্বনা দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানো।’
বলসোনারো ঘোষণা করেছেন, ভুক্তভোগীদের সহযোগিতার জন্য ২১ কোটি ডলারের পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেবে তাঁর সরকার।
গতকাল পেরনামবুকো রাজ্যে নতুন করে আরও কয়েকটি পৌরসভায় জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলে জরুরি পরিস্থিতিতে রাখা পৌরসভার সংখ্যা ২৪।
ফোলহা দে সে পাওলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায় ৬ হাজার ২০০ মানুষ বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক আন্তসরকার প্যানেল (আইপিসিসি) রেসিফে শহরকে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ নগর এলাকাগুলোর একটি হিসেবে চিহ্নিত করেছে।