মেক্সিকোতে ঘূর্ণিঝড় আগাথায় ১১ জনের প্রাণহানি

মেক্সিকোর ওয়াক্সাকা রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় আগাথায় ১১ জন মারা গেছেন
ছবি: রয়টার্স

মেক্সিকোর ওয়াক্সাকা রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় আগাথায় ১১ জন মারা গেছেন। আরও ২০ জনের বেশি নিখোঁজ। রাজ্যের গভর্নর এসব তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।

অতীতের রেকর্ড থেকে দেখা যায়, ১৯৪৯ সালের পর গত সোমবার আগাথা মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।

আগাথার প্রভাবে শুরু হয় ভারী বৃষ্টি। এতে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগ বানের জলে ভেসে গেছে, নয়তো মাটিতে চাপা পড়েছে।

আগাথা মেক্সিকো উপকূলে পুয়ের্তো অ্যাঞ্জেলের কাছে ঘণ্টায় ১৬৯ কিমি গতিতে আঘাত হানে। তবে উপকূলে আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি হারিয়ে ফেলে।

একই সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে নদীগুলো প্লাবিত হয়ে পাহাড়ের ধারে পানি চলে যায়। এতে বন্যার সঙ্গে সঙ্গে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।

ওয়াক্সাকার গভর্নর আলেজান্দো মুরাত বলেছেন, অন্তত পাঁচজন নদীতে ভেসে গেছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাহাড়ি এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দুই হাজার মিটার উঁচুতে অবস্থিত শহর সান্তা কাতারিনার ডি জানাগুর মেয়র বলেন, সেখানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় মেয়র রামোস বলেছেন, ‘আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি। বিদ্যুৎ–সংযোগও নেই। সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।’

ঘূর্ণিঝড় আগাথা পাহাড়ি এলাকার গ্রামগুলোতে যে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ছবি প্রকাশিত হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।