প্রথমবারের মতো বার্ড ফ্লুর নতুন ধরনে আক্রান্ত হয়ে ব্যক্তির মৃত্যু

বার্ড ফ্লু লেবেল লাগানো কিছু টেস্টটিউবছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

মেক্সিকোতে বার্ড ফ্লু ভাইরাসের এইচ৫এন২ ধরনে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বে কোনো মানুষের এইচ৫এন২ ধরনে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। গতকাল বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ তথ্য জানিয়েছে।

ডব্লিউএইচওয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ৫৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি গত ২৪ এপ্রিল মারা যান। তাঁর জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও বমি বমি ভাব হচ্ছিল। ওই ব্যক্তির খামার কিংবা অন্য কোনো প্রাণীর সংস্পর্শে আসার ইতিহাস নেই। স্টেট অব মেক্সিকোর ওই বাসিন্দাকে মেক্সিকো সিটির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই দিনই তিনি মারা যান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ (এইচ৫এন২) ভাইরাসে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার প্রথম ঘটনা এটি, যা পরীক্ষাগার থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গত ২৩ মে পরীক্ষাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডব্লিউএইচওকে বিষয়টি জানিয়েছিল মেক্সিকোর স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।

ডব্লিউএইচও বলেছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উৎস কী, তা অজানা। যদিও মেক্সিকোতে খামারগুলোতে এইচ৫এন২-এর সংক্রমণ দেখা গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, গত মার্চে মিচোয়াকান রাজ্যের একটি পোলট্রি খামারে এইচ৫এন২ ভাইরাস শনাক্ত হয়। স্টেট অব মেক্সিকোতে এর প্রকোপ ধরা পড়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বলেছে, মানুষের আক্রান্ত হওয়া ও পোলট্রি সংক্রমণের ঘটনার মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা এ মুহূর্তে জানা অসম্ভব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে, এতে মানুষের ঝুঁকি কম।

মেক্সিকোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেন, যে ব্যক্তি মারা গেছেন তিনি দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। তবে ইতিমধ্যে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা মানুষদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি নেই। তাঁদের নমুনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওই ব্যক্তির বাড়ির আশপাশের খামারগুলোকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ওই এলাকায় বন্য প্রাণীগুলো আক্রান্ত হচ্ছে কি না, তা শনাক্ত করতে স্থায়ী একটি নজরদারি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক সপ্তাহ ধরে বার্ড ফ্লুর এইচ৫এন১ ভাইরাসের ভিন্ন একটি ধরনে খামারের গরুরা আক্রান্ত হচ্ছে। গুটিকয়েক মানুষের এতে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, এখনো গবাদিপশু থেকে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটলেও মানুষের কাছ থেকে অন্য মানুষের মধ্যে এ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেনি।