যুক্তরাষ্ট্রে আরও থাকতে চান বলসোনারো, আবেদন করলেন ট্যুরিস্ট ভিসার

জইর বলসোনারো
ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো যুক্তরাষ্ট্রে থাকার জন্য ছয় মাসের পর্যটক ভিসার জন্য আবেদন করেছেন। গতকাল সোমবার বলসোনারোর আইনজীবীর এক ই–মেইল বিবৃতির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

বলসোনারোকে দেওয়া যেকোনো ভিসা প্রত্যাহার করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ওপর যখন চাপ জোরালো হচ্ছে, তখনই এমন আবেদন করা হলো।

বলসোনারোর আইনজীবী ফেলিপ আলেক্সান্দ্রে বলেন, গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্টের আবেদনপত্রটি গ্রহণ করেছে। তিনি আরও বলেন, আবেদনটি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে না পৌঁছানো পর্যন্ত বলসোনারো যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন।

রয়টার্সের পাঠানো এক ই–মেইলের জবাবে আলেক্সান্দ্রে বলেন, ‘তিনি (বলসোনারো) কিছুটা সময় বিরতি নেবেন, মাথা ঠান্ডা রাখবেন এবং কয়েক মাস যুক্তরাষ্ট্রে পর্যটক হিসেবে থাকবেন। এরপর তিনি তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন।’

আলেক্সান্দ্রে আরও বলেন, ‘তিনি (বলসোনারো) ছয় মাস সময় পুরোপুরি ব্যবহার করবেন কি না, তা তাঁর ওপর নির্ভর করছে। তিনি তাঁর পরিকল্পনা ঠিক করলে আমরা সে অনুযায়ীই কৌশল নির্ধারণ করব।’

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বলসোনারো একটি পর্যটক ভিসার জন্য আবেদন করেছেন।

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, মার্কিন আইনের আওতায় ভিসা রেকর্ডগুলো খুব গোপনীয়। তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগত ভিসা নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বিস্তারিত আলোচনা করতে পারে না।

ব্রাজিলে গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লুলা দা সিলভা জয় পান। ১ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে বলসোনারোর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে এর দুই দিন আগেই তিনি ফ্লোরিডায় পাড়ি জমান। এর পর লুলা দা সিলভা দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

নির্বাচনে বামপন্থী লুলা দা সিলভার কাছে পরাজয় মেনে নিতে পারেননি বলসোনারোর উগ্র ডানপন্থী সমর্থকেরা। তাঁদের অভিযোগ, কারচুপির মাধ্যমে বলসোনারোকে হারানো হয়েছে। এ জন্য তাঁরা সামরিক বাহিনীর ‘হস্তক্ষেপ’ চেয়ে আসছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার ব্রাজিলের পার্লামেন্ট ভবন কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, সুপ্রিম কোর্ট ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তাণ্ডব চালান বলসোনারোর সমর্থকেরা। এ ঘটনায় দেশে-বিদেশে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন ডানপন্থী সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।

আরও পড়ুন

বলসোনারো গণতন্ত্রবিরোধী বিক্ষোভ উসকে দিয়েছিলেন কি না, তা জানতে তদন্ত শুরুর ব্যাপারে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট সম্মতি জানিয়েছেন।

চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ৪১ জন সদস্য বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনকে ব্রাজিলের তদন্তে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বারবারই বলে আসছে, তাদের নীতিমালা অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট ভিসা মামলা নিয়ে কথা বলার সুযোগ নেই।

আরও পড়ুন