নিকারাগুয়ার আড়াই শ সরকারি কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা

নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা (ডানে) ও তাঁর স্ত্রী দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর নির্বাচনী বিলবোর্ডের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। ২০২১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নিকারাগুয়ার রাজধানী মানাগুয়ায়ফাইল ছবি : রয়টার্স

নিকারাগুয়ার আড়াই শতাধিক সরকারি কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য বিধিনিষেধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মানব পাচার, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জেরে তাঁদের বিরুদ্ধে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিকারাগুয়ার তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বুধবার সকালে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই কর্মকর্তা উত্তর আমেরিকার দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘নিকারাগুয়া সরকার নিয়ে আমাদের গুরুতর কিছু উদ্বেগ রয়েছে—নিজ জনগণের বিরুদ্ধে সরকারের অব্যাহত দমন-পীড়ন এবং অভিবাসীদের শোষণ-বঞ্চনার জন্য তাদের কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

মার্কিন কর্মকর্তাদের অভিযোগ, নিকারাগুয়া সরকারের নেতারা, প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা ও তাঁর স্ত্রী দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলো অসহায় ও বেপরোয়া অভিবাসীদের কাজে লাগিয়ে লাভবান হচ্ছেন। নিকারাগুয়া সরকার অভিবাসীদের কাছে সাময়িক থাকার শর্তে ভিসা বিক্রি করছে। যাঁরা এসব ভিসা নিয়ে সেখানে যাচ্ছেন, তাঁদের ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে নিকারাগুয়া ছাড়তে হচ্ছে। এ থেকে এ বিষয় স্পষ্ট যে তাঁরা ভিসা ব্যবসা থেকে অর্থ উপার্জন করছেন। এই অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে ভিড় করছেন।

নিকারাগুয়ার ভিসা ব্যবসার কারণে বাইডেন প্রশাসন বুধবার থেকে নিজেদের উড়োজাহাজ কর্তৃপক্ষের কাছে একটি সতর্কতা জারি করেছে। এতে উত্তর আমেরিকার দেশটি থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উড়োজাহাজে করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ কঠিন হবে।
বুধবার নিকারাগুয়ার কর্মকর্তা ও অন্য ব্যক্তিদের ওপর যেসব ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর একটি রাশিয়া। দেশটিতে রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। কেন্দ্রটিতে নিকারাগুয়ার জাতীয় পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, রাশিয়ার প্রশিক্ষণ নিয়ে নিকারাগুয়ার পুলিশ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করছে।

নিকারাগুয়ার কর্মকর্তা ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আগেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।