বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের তলা থেকে উদ্ধার দুই মরদেহ

আভিয়ানকা এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ
ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতার বিমানবন্দরে আভিয়ানকা এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজের তলা (চাকাযুক্ত যে কাঠামোর মাধ্যমে উড়োজাহাজ মাটিতে দাঁড়ায়) থেকে দুই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের সংস্কারকাজ চলার সময় মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। এয়ারলাইনসটির কর্তৃপক্ষ ও কলম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের বরাতে আল–জাজিরা এসব তথ্য জানিয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় চিলির সান্তিয়াগো ছেড়ে আসা উড়োজাহাজটি বোগোতা বিমানবন্দরে পৌঁছায়। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে আভিয়ানকা বলেছে, বোগোতায় এল ডোরাডো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর এয়ারলাইনসটির কর্মীরা উড়োজাহাজের তলায় দুজনের মরদেহ শনাক্ত করেন। ওই দুই ব্যক্তি বিমানের তলার দিকের কাঠামোতে লুকিয়ে ছিলেন।

আভিয়ানকা কর্তৃপক্ষ ওই দুই তরুণের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রতি ফ্লাইটের আগে তারা উড়োজাহাজে তল্লাশি চালিয়ে থাকে। তারা মনে করে, বিমানবন্দর ও জনসাধারণের চলাচলে সীমাবদ্ধতা থাকা এলাকাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।

অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিহত ব্যক্তিদের বয়স ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের কারিগরি তদন্ত কর্তৃপক্ষ তাদের জাতীয়তা ও তাঁরা কোন জায়গা থেকে এসেছেন, তা জানার চেষ্টা করছে। নিহত ব্যক্তিরা আফ্রিকান বংশোদ্ভূত বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ।

নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্ত করার মতো কোনো কাগজপত্র তাঁদের সঙ্গে পাওয়া যায়নি। একজনের সঙ্গে ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রের মুদ্রা ছিল। তাঁদের সঙ্গে যে স্যুটকেসটি ছিল, সেখানে ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রের কিছু কাগজপত্র ছিল। এর মধ্য দিয়ে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা সে দেশে থাকতেন।

সবশেষ ৩ জানুয়ারি উড়োজাহাজটি ডমিনিকান প্রজাতন্ত্র ছেড়েছে। এর মানে, তাঁরা দুজন হয়তো সেদিন থেকে উড়োজাহাজটির তলানিতে অবস্থান করছেন।

অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে আরও বলা হয়, সবশেষ গত ২৭ ডিসেম্বর উড়োজাহাজটির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়েছিল। এরপর এটি বোগোতা, ব্রাজিলের গুয়ারুলহোস ও সান্তিয়াগোতে ভ্রমণ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, মরদেহগুলো ঠান্ডায় জমে গেছে ও আংশিক গলে গেছে। একটি মরদেহ পুড়ে গেছে।