পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফুজিমোরি ১৬ বছর পর কারামুক্ত

কারাগার থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন আলবার্তো ফুজিমোরি। পাশে তাঁর ছেলে কেনজি ফুজিমোরি ও মেয়ে কেইকো ফুজিমোরিছবি: এএফপি

১৬ বছর পর কারাগার থেকে বের হলেন পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফুজিমোরি। স্থানীয় সময় গত বুধবার ৮৫ বছর বয়সী ফুজিমোরি রাজধানী লিমার বারবাডিলো কারাগার থেকে মুক্ত হন। মানবিক কারণ দেখিয়ে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

ফুজিমোরি ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পেরুর প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০০৯ সালে তাঁকে ২৫ বছরের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ১৯৯১ ও ১৯৯২ সালে ২৫ ব্যক্তিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অপরাধে তাঁকে ওই কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০০৭ সালে চিলি থেকে ফুজিমোরিকে পেরুর কাছে হস্তান্তর করা হয়। তখন থেকে ১৬ বছর কারাবন্দী ছিলেন তিনি।

২০১৭ সালে ফুজিমোরির সাজা মাফ করে দিয়েছিলেন দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পেদরো পাবলো কুসিনিস্কি। তবে সে যাত্রায় তিনি মুক্তি পাননি। এরপর গত মঙ্গলবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালত ওই সাজা মাপের বিষয়টি পুনর্বহাল করেন।

বুধবার কারাগার থেকে গাড়িতে করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ফুজিমোরিকে রোগাটে দেখা গেছে। এ সময় তিনি সেখানে উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নেড়েছেন। সে সময় গাড়িতে তাঁর পাশে ছিলেন মেয়ে কেইকো ও ছেলে কেনজি। কেইকো দেশটিতে তিনবার প্রেসিডেন্ট পদে লড়ে হেরেছেন। আর কেনজি পেশায় ব্যবসায়ী।

ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের পরিবারের পাশাপাশি ফুজিমোরির এই মুক্তির বিরোধিতা করে আসছেন ইন্টার-আমেরিকান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস। জাপানি বংশোদ্ভূত ফুজিমোরি দেশটির সাবেক আরও কয়েকজন শাসকের মতো পেরুতে জাতিগত বিভক্তি তৈরি করেছেন বলে সমালোচনা রয়েছে। সমালোচকেরা বলেন, তিনি তাঁর শাসনকালে গণতন্ত্রের অপব্যবহার করেছেন ও একনায়কতন্ত্র গড়ে তুলেছেন।

যদিও ফুজিমোরির সমর্থকদের দাবি, তিনি দেশটিকে অর্থনৈতিক ধস ও বামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী সাইনিং পাথের হাত থেকে রক্ষা করেছেন।