বার্তাকক্ষে খাম খুলে বোমা পেলেন সাংবাদিক, বিস্ফোরণ

ইকুয়েডরে সাংবাদিকদের কাছে খামে ভরে বোমা পাঠানো হচ্ছেছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

ইকুয়েডরে সাংবাদিকদের কাছে খামে ভরে বোমা পাঠানো হচ্ছে। এ ধরনের বোমার শিকার হয়েছেন একজন উপস্থাপক। তাঁর নাম লেলিন আরতিয়েদা। বার্তাকক্ষে তাঁর কাছে একটি খাম ডাকযোগে পাঠানো হয়েছিল। সেটি খুলে একটি ইউএসবি ড্রাইভ পান তিনি। পরে সেটি কম্পিউটারে যুক্ত করলেই বিস্ফোরণ ঘটে।

বোমা পাঠানোর ঘটনায় গতকাল সোমবার সন্ত্রাসবাদের তদন্ত শুরু করেছে ইকুয়েডরের অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর। তবে কোন কোন সংবাদমাধ্যমে এই বোমা পাঠানো হয়েছে, তা উল্লেখ করেনি দপ্তরটি। দেশটির অন্তত পাঁচটি সংবাদমাধ্যমে এভাবে বোমা পাঠানো হয়েছে।

বোমা বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন উপস্থাপক লেলিন আরতিয়েদা। তবে অন্য সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বোমাগুলো হয় বিস্ফোরিত হয়নি, অথবা সন্দেহ হওয়ায় খাম খোলা হয়নি। ইকুয়েডরের ফরেনসিক সায়েন্স প্রধানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বোমাগুলোয় সামরিক বাহিনী যে ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করে, তেমন বিস্ফোরক ছিল।

ইকুয়েডর সরকার এক বিবৃতিতে বোমা পাঠানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভয়ভীতি দেখানোর যেকোনো প্রচেষ্টা একটি ঘৃণ্য কাজ। কঠোর বিচারের মাধ্যমে একে শাস্তির আওতায় আনা হবে।’

খামে করে ইউএসবি ডিভাইস সদৃশ বোমাগুলো একই শহর থেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইকুয়েডরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুয়ান জাপাতা। তিনি বলেন, তিনটি বোমা গুয়াইয়াকিল শহরের সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। আর দুটি বোমা পাঠানো হয়েছে রাজধানী কিটোর সংবাদমাধ্যমগুলোয়।

লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে দিন দিন সহিংসতা বেড়েই চলেছে। বিগত মাসগুলোতে বেড়েছে খুনোখুনি। দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলেরমো লাসোর ভাষ্যমতে, বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মাদক পাচারকারী দলগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে এসব সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।