পা বাঁকাতে পারেন ২১০ ডিগ্রি

রেনাতো বায়মা গাইয়ার বাড়ি লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। অদ্ভুত একটি গুণ রয়েছে রেনাতোর। নিজের পা অস্বাভাবিক রকমের বাঁকিয়ে ফেলতে পারেন তিনি। আর বিশেষ এ গুণের কারণে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের পাতায় নাম উঠেছে তাঁর।

রেনাতোকে নিয়ে গত ২৯ মে একটি প্রতিবেদন করেছে গিনেস কর্তৃপক্ষ। নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেনাতো তাঁর ডান পা বাঁকা করে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। পা ২১০ দশমিক ৬৬ ডিগ্রি বাঁকা করেছেন বা ঘোরাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।

এর আগে যে রেকর্ড ছিল, তাতে পা ২৮ দশমিক ৬৩ ডিগ্রি ঘোরানো হয়েছিল। সেই রেকর্ড ছাপিয়ে রেনাতোর অর্জন বেশ বড়। নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়তে পেরে ভীষণ খুশি তিনি।

তবে পা বাঁকিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে কোনো প্রস্তুতি নেননি রেনাতো। করেননি অনুশীলনও। তিনি বলেন, এটা পুরোপুরি প্রকৃতি প্রদত্ত একটি যোগ্যতা। আজ থেকে বছর ৩০ আগে তিনি নিজের মধ্যে এক বিশেষ গুণ খুঁজে পেয়েছিলেন। সেই গুণ আবিষ্কারের তিন দশক পরে এসে গড়েছেন বিশ্ব রেকর্ড।

গিনেস কর্তৃপক্ষ বলছে, ইতিপূর্বে তিনজন এমন রেকর্ড গড়েছেন। তাঁদের দুজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। একজন যুক্তরাজ্যের। তবে রেনাতোই প্রথম ব্যক্তি, যিনি নিজের পা ১৮০ ডিগ্রির বেশি বাঁকাতে সক্ষম হয়েছেন।

নারীদের মধ্যে নিজের পা সবচেয়ে বেশি ১৭১ দশমিক ৪ ডিগ্রি বাঁকিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কেলসি গ্রুব। তাঁর বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোয়।

কিন্তু কীভাবে নিজের পা এতটা বাঁকান রেনাতো? গিনেস কর্তৃপক্ষ বলছে, এর কিছু নিয়ম রয়েছে। শুরুতে দুই পা পাশাপাশি রাখতে হবে। এরপর হাত কিংবা কোনো যন্ত্রের সহায়তা ছাড়াই একটি পা বাঁকাতে বা ঘোরাতে হবে। সে ক্ষেত্রে হয় গোড়ালি অবশ্যই স্থির থাকতে হবে, নয়তো পায়ের আঙুলগুলো।

শুধু এসব শর্ত পূরণই নয়, পা পেছনের দিকে ২১০ দশমিক ৬৬ ডিগ্রি বাঁকা করার পর ন্যূনতম ১০ সেকেন্ড রেনাতোকে সেভাবে থাকতে হয়েছে। এরপরই মিলেছে বিশ্ব রেকর্ডের স্বীকৃতি।