এবার কলম্বিয়ার আকাশে চীনা ‘নজরদারি’ বেলুন!

গত শনিবার এফ-২২ যুদ্ধবিমান থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় থাকা বেলুনটিকে ধ্বংস করা হয়।
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় শনাক্ত হওয়া চীনা নজরদারি বেলুনটি মার্কিন বাহিনী যুদ্ধবিমান দিয়ে ধ্বংস করার এক দিন আগে লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার আকাশসীমায় একই ধরনের বস্তু ভেসে বেরিয়েছিল বলে দাবি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

কলম্বিয়ার বিমানবাহিনী বলছে, তাদের আকাশসীমায় ভেসে বেড়ানো বস্তুটি যুক্তরাষ্ট্রে বিধ্বস্ত হওয়া চীনা নজরদারি বেলুনটির মতোই। এটি গত শুক্রবার শনাক্ত করা হয়, আকাশসীমা ছেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত তা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল।

শনিবার এক বিবৃতিতে দেশটির বিমানবাহিনী বলেছে, আকাশসীমায় ভেসে বেড়ানো বস্তুটি ১৭ হাজার মিটার উচ্চতায় দেখা গেছে। এর গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪৬ কিলোমিটার। তবে এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য কোনো হুমকি তৈরি করেনি এবং প্রতিরক্ষা বা বিমান নিরাপত্তায় কোনো ঝামেলা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য দেশ ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে তদন্ত করা হচ্ছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় শনাক্ত হওয়ার পর যুদ্ধবিমান দিয়ে সন্দেহজনক চীনা নজরদারি বেলুনটি ধ্বংস করা হয়। এখন বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। বেলুনটি কয়েক দিন ধরে উত্তর আমেরিকার আকাশসীমায় উড়ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, বেলুনটি তাদের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় নজরদারি করছিল।

আরও পড়ুন

বেলুনটিকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এমন অবস্থায় মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, শনিবার এফ-২২ যুদ্ধবিমান থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বেলুনটি ধ্বংস করেছে তারা। বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিক মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমায় পড়েছে।

কলম্বিয়ায় একই রকম বস্তু আকাশসীমায় ভেসে বেড়ানোর খবর প্রকাশ হওয়ার পর শুক্রবার পেন্টাগনও জানিয়েছে, লাতিন আমেরিকায় আরও একটি সন্দেহজনক চীনা নজরদারি বেলুন দেখা গেছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি পেন্টাগন।

আরও পড়ুন

লাতিন আমেরিকার অন্য কোন দেশ তাদের আকাশসীমায় সন্দেহজনক কিছু দেখার কোনো খবর দেয়নি। তবে ভেনেজুয়েলা গতকাল ‘চীনের বেসামরিক মানবহীন বেলুনের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানের’ তীব্র সমালোচনা করেছে।

এদিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা কারাকাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র আবারও এই পরিস্থিতিকে গুরুত্ব ও দায়িত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার পরিবর্তে শক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে দেখছে।’

আরও পড়ুন