ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বামপন্থী নেতা লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার বিজয়কে চ্যালেঞ্জ করে করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। গত মঙ্গলবার ব্রাজিলের সুপিরিয়র ইলেকটোরাল কোর্টে (টিএসই) মামলা করেছিল বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও ডানপন্থী নেতা জইর বলসোনারোর দল লিবারেল পার্টি। এবারের নির্বাচনে লুলার কাছে হেরেছেন বলসোনারো। খবর রয়টার্সের।
বলসোনারোর দলের অভিযোগ, এবারের নির্বাচনে ত্রুটিযুক্ত ভোটিং মেশিন ব্যবহার করে বলসোনারোর জয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। দলটি ব্যালট বাক্সের (ভোটিং মেশিন) পাঁচটি মডেলে ত্রুটি থাকার কথা জানিয়েছে। তাই তাদের আবেদন, নির্বাচনে ব্যবহৃত ২ লাখ ৮০ হাজার ভোটিং মেশিনের ফল বাতিল করতে হবে।
টিএসইর প্রধান বিচারক আলেকজান্দ্রেদা মারোয়েস স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার মামলা খারিজ করে দিয়ে বলেন, ব্যালট বাক্সে (ভোটিং মেশিন) একাধিক বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। তাই কোনো ধরনের জালিয়াতি শনাক্ত হলে একটি ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিকল্প একটি ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে জালিয়াতির সুযোগ নেই।
বিচারক মারোয়েস এর আগে বলসোনারোর রাজনৈতিক জোটকে জরিমানা করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, অবিশ্বস্ত সূত্র থেকে তহবিল সংগ্রহ করা হয়েছিল। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তদন্ত করতে আদালতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আদেশে বলা হয়েছিল, জরিমানার অর্থ পরিশোধ না করা পর্যন্ত তহবিলের অর্থ ব্যবহার করা যাবে না।
গত মাসের নির্বাচনে ব্রাজিলের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো প্রতিদ্বন্দ্বী লুলা দা সিলভার কাছে সামান্য ব্যবধানে হেরে যান। জয়ের এ ব্যবধান ২ শতাংশের কম। দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের ফল বাতিলের দাবি উঠলেও নির্বাচনে হারের পর থেকে চুপচাপ রয়েছেন বলসোনারো।
বলসোনারো নির্বাচনের ফল মেনে নেওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া অনুমোদন করেছেন তিনি। আগামী জানুয়ারি মাসে ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারেন লুলা। তবে ক্ষমতা হস্তান্তরপ্রক্রিয়ায় ধীর গতি নিয়ে লুলা সমর্থকদের মধ্যে সমালোচনা বাড়ছে।
বলসোনারোর ডিক্রি বাতিলের ঘোষণা
ব্রাজিলে আগ্নেয়াস্ত্র প্রাপ্তির পথ সহজ করে ডিক্রি জারি করেছিলেন জইর বলসোনারো। ক্ষমতা নেওয়ার পর সেই ডিক্রি বাতিল করবেন লুলা। গতকাল বুধবার লুলার জ্যেষ্ঠ সহযোগী ও নবনির্বাচিত সিনেটর ফ্লাভিও দিনো এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, পরবর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর লুলার ডিক্রি বাতিলের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা কিংবা বাড়তি কর আরোপ করতে পারে।