গণতন্ত্রের পথে ফিরবে ভেনেজুয়েলা
ভেনেজুয়েলার গণতান্ত্রিক উত্তরণের ব্যাপারে আশাবাদী দেশটির বিরোধী নেতা লিওপোল্ডো লোপেজ। ২৯ জুলাই দেশটির নির্বাচন। এর আগে দেশটির গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন লোপেজ। তিনি বলেন, ভেনেজুয়েলার লাখ লাখ ভোটার আগামী নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন নিকোলা মাদুরোর সরকারের বিরুদ্ধে রায় দেবেন। তাঁরাই দেশকে গণতন্ত্রে উত্তরণ করবেন।
আদালত কথিত জালিয়াতির অভিযোগে বিরোধী নেতা মারিয়া করিনা মাচাদোকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অযোগ্য ঘোষণার পরেও জনমত জরিপে বিরোধী দল এগিয়ে রয়েছে।
নির্বাচনে অংশ নিতে না পেরে মাচাদোর জোট নতুন এক প্রার্থীকে সমর্থন করেছে। তিনি হচ্ছেন দেশটির সাবেক কূটনীতিক এডমন্ডো গঞ্জালেজ।
ভলান্টাড পপুলার দলের প্রতিষ্ঠাতা লোপেজ জেনেভায় বলেন, ‘ব্যাপক নির্বাচনী জালিয়াতি ছাড়া নির্বাচনে মাদুরো জয়ী হতে পারবেন না। আমরা জানি, মাদুরো হলেন মাদুরোই। তিনি এক স্বৈরশাসক। কিন্তু আমরা আশাবাদী, ২৯ জুলাইয়ের পর ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক উত্তরণ শুরু হবে।’
এ বিষয়ে ভেনেজুয়েলার তথ্য মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করেনি।
সমাজতন্ত্রী মাদুরো প্রেসিডেন্ট পদে তৃতীয় মেয়াদের জন্য লড়ছেন। পশ্চিমা দেশগুলো ২০১৮ সালের নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোর সরকারকে এবারের নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার আহ্বান জানিয়েছে।
জীবনযাত্রার মান নিয়ে ক্ষুব্ধ দেশটির ভোটাররা। তবে কিছু বিশ্লেষক এবং বিরোধী রাজনীতিবিদরা বলছেন, গঞ্জালেজের সঙ্গে ভোটের ব্যবধান কমাতে লড়াই করতে হবে মাদুরোকে।
এবারের নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে লোপেজ। তিনি ২০২০ সালে ভেনেজুয়েলা থেকে পালিয়ে বর্তমানে স্পেনে বাস করছেন। তিনি বলেন, অপ্রতিরোধ্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা আর থাকবে না এবং এটি হবে পরিবর্তনের এক বিশাল অভিব্যক্তি।
মাদুরোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার অভিযোগে ২০১৪ সালে কারাগারে যেতে হয়েছিল লোপেজকে। ২০১৭ সালে তিনি গৃহবন্দী থেকে মুক্তি পান। তিনি বিরোধী নেতা হুয়ান গুয়াইদোর একজন পরামর্শদাতা ছিলেন, যিনি মাদুরোর বিরুদ্ধে সামরিক বিদ্রোহ শুরু করার চেষ্টা করেছিলেন।
লোপেজ বলেন, ‘আমরা মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘ ও অন্য দেশগুলোকে ভেনেজুয়েলায় কী ঘটছে, তা গুরুত্বের সঙ্গে নজর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রে উত্তরণে বড় সম্ভাবনা রয়েছে।’ দেশে গণতন্ত্র ফিরলে সেখানে ফিরতে চান লোপেজ। তিনি বলেন, ‘গত এক দশকে যে ৮০ লাখ নাগরিককে ভেনেজুয়েলা ছাড়তে হয়েছে, আমি তাদের একজন। গণতন্ত্রে উত্তরণ হলে আমরা দেশে ফেরার একটা সুযোগ পাব।’