ভেনেজুয়েলার তেলের ওপর দুই মাস অবরোধের নির্দেশ ট্রাম্প প্রশাসনের

পুয়ের্তো রিকোতে মার্কিন বাহিনীর হেলিকপ্টারফাইল ছবি: রয়টার্স

ভেনেজুয়েলার জ্বালানি তেলের ওপর অন্তত দুই মাস ‘একচেটিয়া অবরোধ’ আরোপের দিকে নজর দিতে মার্কিন সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে হোয়াইট হাউস। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা গতকাল বুধবার রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এর অর্থ হলো কারাকাসের ওপর সামরিক চাপের চেয়ে বর্তমানে অর্থনৈতিক চাপের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ওয়াশিংটন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ভেনেজুয়েলাকে সামরিকভাবে মোকাবিলা করার পথ এখনো খোলা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য অর্জনে প্রথমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে অর্থনৈতিক চাপ দেবে ওয়াশিংটন। এই প্রচেষ্টা এরই মধ্যে কারাকাসের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় না গেলে জানুয়ারির শেষ নাগাদ ভেনেজুয়েলা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে।

ভেনেজুয়েলা ঘিরে ব্যাপক সেনা মোতায়েন করে রাখলেও দেশটি নিয়ে নিজেদের লক্ষ্যগুলো এখন পর্যন্ত খোলাসা করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তিনি ব্যক্তিগতভাবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে পদত্যাগ করার জন্য চাপ দিয়েছেন। এমনকি গত সোমবারও ট্রাম্প বলেছেন, মাদুরোর জন্য ক্ষমতা ছাড়াটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

ক্যারিবীয় সাগরে এই সেনা মোতায়েনের কারণ হিসেবে ট্রাম্প বলেছেন, ভেনেজুয়েলা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে। মাদকবাহী তকমা দিয়ে নৌযানের ওপর কয়েক মাস ধরে হামলা চালাচ্ছে মার্কিন বাহিনী। একে বিচারবহির্ভূত হত্যা বলে অভিযোগ করেছে বিভিন্ন দেশ। ভেনেজুয়েলার ভূখণ্ডে মাদক-সংক্রান্ত বিভিন্ন অবকাঠামোয় হামলা চালানোর হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প।

এখন পর্যন্ত ক্যারিবীয় সাগরে ভেনেজুয়েলার তেলবাহী দুটি ট্যাংকারে অভিযান চালিয়েছে মার্কিন কোস্টগার্ড। ওই তেল জব্দ করা হয়েছে। রয়টার্সকে সূত্র জানিয়েছে, তৃতীয় আরেকটি ট্যাংকার জব্দের অপেক্ষা করছে কোস্টগার্ড। গত রোববারই ‘বেলা-১’ নামের ওই জাহাজ জব্দের চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে এখন আরও সেনাসদস্যদের নিয়ে নতুন করে অভিযানের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

ভেনেজুয়েলার তেলের ওপর একচেটিয়া অবরোধ বলতে কী বোঝানো হয়েছে, তা জানতে চাইলে রয়টার্সের কাছে কোনো মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘে ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রদূত স্যামুয়েল মনকাদা বলেছিলেন, ‘হুমকিটা ভেনেজুয়েলা নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।’