নিজের বেতন বাড়িয়ে দ্বিগুণ করলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে

প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তেছবি: রয়টার্স

পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তের জনপ্রিয়তা তলানিতে। অজনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও দিনা বলুয়ার্তে তাঁর বেতন বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে নিয়েছেন। পেরুর প্রধান হিসেবে ৬৩ বছর বয়সী দিনার এখন মাসিক বেতন হবে প্রায় ১২ লাখ টাকা (১০ হাজার মার্কিন ডলার)। পেরুর সরকার গত বুধবার দিনার এ নতুন বেতন নির্ধারণ করেছে।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে আর এক বছর মেয়াদ রয়েছে দিনা বলুয়ার্তের। ঠিক এ সময় নিজের বেতন বাড়িয়ে নেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে দেশটিতে সমালোচনা চলছে।

পেরুতে দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের অপরাধের ঘটনা বেড়েছে ও গ্যাং সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু এসব সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছেন দিনা। এ নিয়ে দিনা বলুয়ার্তের বিরুদ্ধে দেশটিতে বিক্ষোভ হচ্ছে। দিনার বেতন বাড়ানো নিয়ে আগে থেকেই সমালোচনা চলছিল। এ পরিস্থিতিতে তা আরও বেড়েছে। গত মে মাসে বলুয়ার্তের দপ্তর বেতন বাড়ানোর খবর অস্বীকার করে বিবৃতি দেয়। কিন্তু দুই মাসের মাথায় প্রেসিডেন্টের বেতন দ্বিগুণ করা হলো।

অর্থমন্ত্রী রাউল পেরেজ-রেয়েস জানান, নতুন বেতনের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে লাতিন আমেরিকার ১২টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের বেতনের সঙ্গে তুলনা করার পর। এই পরিবর্তনের আগে, দিনা বলুয়ার্তের বেতন ছিল ১১তম অবস্থানে, শুধু বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি।

মে মাসে যখন বলুয়ার্তের জনপ্রিয়তা মাত্র ২ শতাংশের আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল, তখন এই ঘোষণা ভালোভাবে গ্রহণ করেনি পেরুর জনগণ। অর্থনীতিবিদ হোর্হে গনসালেস ইসকিয়ের্দো এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, এখন বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার সবচেয়ে খারাপ সময়, কারণ তাঁর জনপ্রিয়তা প্রায় শূন্যের কোঠায়।

সাবেক অর্থমন্ত্রী লুইস মিগুয়েল কাস্তিয়া বলেন, এ ঘোষণা প্রেসিডেন্টকে ঘিরে অসারতার ধারণাকে আরও শক্তিশালী করে।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে বলুয়ার্তে ক্ষমতায় আসার সময় থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং তাঁর পুরো শাসনামলজুড়ে তা অব্যাহত আছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একের পর এক কেলেঙ্কারি, তদন্ত, বিতর্ক এবং গ্যাং সহিংসতা।

দিনা বলুয়ার্তে এখন অন্তত ১২টি ঘটনায় তদন্তের মুখোমুখি, যার মধ্যে একটি হলো বিলাসবহুল গয়না ও ঘড়ির উপহার ঘোষণায় ব্যর্থতার অভিযোগ, যা নিয়ে সৃষ্টি হওয়া কেলেঙ্কারির নাম দেওয়া হয়েছে ‘রোলেক্সগেট’।