মুদ্রাস্ফীতির শীর্ষে আর্জেন্টিনা, বাকি ৯ দেশ কোনগুলো
মূল্যস্ফীতি অর্থনীতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও বড় ধরণের মুদ্রাস্ফীতি অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক হিসেবে দেখা হয়। সহজ ভাষায় মুদ্রাস্ফীতি হলো পণ্য ও সেবার দাম বেড়ে যাওয়া। এর ফলে একই পরিমাণ পণ্য কিনতে আপনাকে আগের চাইতে বেশি টাকা খরচ করতে হবে। এতে পণ্যর দাম বেড়ে যাবে। সব মিলিয়ে ওই টাকার মান বা ক্রয়ক্ষমতা কমে যাবে।
ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধের পরে বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল হয়ে পড়েছে। এরপরই বিশ্বের অন্যতম একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। এর কারণে নানা দেশ বিপাকে। এর ফলে আর্থিক সংকটে সাধারণ মানুষ। যে দেশে মুদ্রাস্ফীতি যত বেশি, সেই দেশে আর্থিক সমস্যা তত বেশি।
বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির হারের ভিত্তিতে একটি তালিকা করে ওয়ার্ল্ড অব স্ট্যাটিসটিক্স নামের একটি সংস্থা। ওই তালিকায় মুদ্রাস্ফীতির হারের দিক থেকে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে বিশ্বকাপের শিরোপাজয়ী লিওনেল মেসির দেশ আর্জেন্টিনা। মুদ্রাস্ফীতির হার ১০০ ছাড়িয়েছে। এরপরই আছে সম্প্রতি ভয়ংকর ভূমিকম্পের কবলে পড়া তুরস্ক।
ওয়ার্ল্ড অব স্ট্যাটিসটিক্স-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুদ্রাস্ফীতির হারে শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা (১০২ শতাংশ), দ্বিতীয় তুরস্ক (৫৫.১৮)। এই দুই দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার অনেক বেশি। তালিকায় এরপরের দেশগুলোর মুদ্রাস্ফীতির হার অনেকটাই কম। তৃতীয় স্থানে আছে রাশিয়া (১১ শতাংশ)। রাশিয়ার পরেই আছে ব্রিটেন (১০.১ শতাংশ), ইতালি (৯.২ শতাংশ), জার্মানি (৮.৭ শতাংশ), ইউরো এলাকা (৮.৫ শতাংশ), অস্ট্রেলিয়া (৭.৮ শতাংশ), মেক্সিকো (৭.৬২), ভারত (৬.৪৪)।
মুদ্রাস্ফীতির হারের তালিকায় ভারতের পরে আছে যুক্তরাষ্ট্র (৬ শতাংশ), ব্রাজিল (৫.৬ শতাংশ), জাপান (৪.৩ শতাংশ), সুইৎজারল্যান্ড (৩.৪ শতাংশ), সৌদি আরব (৩ শতাংশ)। তালিকার ১৬তম স্থানে আছে চিন, মুদ্রাস্ফীতির হার ১ শতাংশ।