ইয়েনিফার পেরেদেস
ছবি: রয়টার্স

দুর্নীতির অভিযোগে পেরুর প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলিওর শ্যালিকাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। খবর রয়টার্সের।

কাস্তিলিওর শ্যালিকার নাম ইয়েনিফার পেরেদেস। তাঁকে গতকাল রোববার বিচারক ৩০ মাসের প্রাক্‌-বিচারে আটকাদেশ দিয়েছেন।

ইয়েনিফারকে ছোট থেকে লালন–পালন করে বড় করেছেন কাস্তিলিও ও তাঁর স্ত্রী। এ কারণে ইয়েনিফারকে প্রায়ই নিজের ‘মেয়ে’ বলে সম্বোধন করেন কাস্তিলিও।

দেশটির প্রসিকিউটরদের অভিযোগ, ইয়েনিফার এমন একটি গোষ্ঠীর অংশ, যারা সরকারি ঠিকা কাস্তিলিওর মিত্রদের মধ্যে বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারে জড়িত।

আরও পড়ুন

বিক্ষোভের মুখে পেরুর নতুন প্রেসিডেন্ট

ইয়েনিফারকে এখন পর্যন্ত কোনো অপরাধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়নি। তবে আপাতত তাঁকে কারাগারে থাকতে হবে। অন্যদিকে অভিযোগের বিষয়ে প্রসিকিউটররা তাঁদের তদন্ত চালিয়ে যাবেন।

বামপন্থী কাস্তিলিও ১৩ মাস ধরে ক্ষমতায় আছেন। ইতিমধ্যে একাধিক কেলেঙ্কারিতে তাঁর নাম জড়িয়েছে। তিনি দুটি অভিশংসন প্রচেষ্টা থেকে বেঁচে গেছেন।

কোনো অন্যায় করেননি বলে দাবি করে আসছেন কাস্তিলিও। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের চেষ্টা চলছে। এ চেষ্টার অংশ হিসেবে প্রসিকিউটররা নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন।

কাস্তিলিওর বিরুদ্ধে ছয়টি ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছেন দেশটির প্রসিকিউটররা। তার মধ্যে দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গুলির ঘটনায় বিচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

কাস্তিলিও সরকারের সাবেক এক মন্ত্রী কয়েক মাস ধরে পলাতক। অন্যদিকে দেশটির বর্তমান পরিবহনমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। প্রসিকিউটরদের ভাষ্য, কাস্তিলিওর পাশাপাশি বর্তমান পরিবহনমন্ত্রীও একটি অপরাধী সংগঠনের অংশ।

পেরুর প্রসিকিউটররা কাস্তিলিওর স্ত্রী লিলিয়া পেরেদেসের বিদেশ ভ্রমণের ওপর তিন বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা চায়।

কাস্তিলিওর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দেশটির প্রসিকিউটররা একের পর এক কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তবে কাস্তিলিও প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তাঁকে অভিযুক্ত বা আটক করা যাবে না।